একপক্ষের গুলিতে শরীফ (৩৫) ও ফোরকান (২৮) নামে ২ জন নিহত হয়েছেন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় । এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে শাহ জামাল (৩৫) নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত শরীফ শ্যামপুর গ্রামের আবদুুল কাদিরের ছেলে এবং ফোরকান একই গ্রামের লাহুত আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাইজচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শ্যামপুর গ্রামের মো. বাক্কার মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের ফারুক মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। আজ বুধবার সকালে ইউপি সদস্য বাক্কার মিয়ার ছোট ভাই মোল্লাকে গ্রামের রাস্তায় পেয়ে ফারুক মিয়ার লোকজন মারপিট করে। মোল্লা বাড়িতে গিয়ে মারপিটের বিষয়টি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য বাক্কার মিয়ার পক্ষের লোকজন এগিয়ে গেলে ফারুক মিয়ার লোকজন তাদের ওপর বন্দুক দিয়ে গুলি চালায়।
গুলিতে ইউপি সদস্য বাক্কার মিয়ার পক্ষের ফোরকান ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ইউপি সদস্য বাক্কার মিয়ার ছোট ভাই শরীফকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া পেটে গুলিবিদ্ধ শাহ জামালকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বাজিতপুর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া নিহত দুই জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।