স্ত্রীকে তালাকের পর সমাজে অপদস্থ করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল অন্য মেয়েদের শারিরীক উলঙ্গ ছবি বিকৃত করে প্রচার করায় রাকিব আকন্দ জুয়েলের নামে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত জুয়েলকে একদিনের রিমান্ড দিলে কোতোয়ালীর এসআই নাজমূল আমিন শুক্রবার ৯ আগষ্ট তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, শহরের ১৫ অতুল চক্রবর্তী রোডের আ. রহিম সালাফির ছেলে রাকিব আহমেদ জুয়েল এক হিন্দু যুবতীর সাথে ৬ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রেম করে। পরে ঐ হিন্দু যুবতীকে এফিডেভিট করে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই (হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়া) স্ত্রী জানতে পারেন জুয়েল এর আগে একটি বিয়ে করেছেন। তার সংসার রয়েছে এবং ঐ ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে চলতে থাকে বাকবিতন্ডা। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ নারীকে শারিরীকভাবে নির্যাতন শুরু করে।
নির্যাতনের সহ্য করেই ঐ নারী সংসার করতে থাকলেও গত কিছুদিন ধরে নির্যাতন বেড়ে জীবন সংকটাপন্ন হয়ে উঠে। বাধ্য হয়ে ঐ নারী পারিবারিকভাবে তালাক নেন।
এদিকে স্বামী রাকিব আহমেদ জুয়েল মনে জেদ পোষণ করে ঐ নারীকে সামাজিকভাবে অপদস্থ করতে ফেইসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমকে বেছে নেয়। স্বামী রাকিব আহমেদ জুয়েল সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য মেয়েদের শারিরীক সম্পর্কের অশ্লীল উলঙ্গ ছবি বিকৃত করে মিথ্যা তথ্য ধারাবাহিকভাবে প্রচার করে। এতে ঐ নারী কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাজমূল আমিন জানান, এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। শুক্রবার রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ শনিবার (১০ আগষ্ট) তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সাথে প্রতারণার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্বসাতের দুটি গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। এদিকে, ঐ নারীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচারসহ সামজিকভাবে হেনস্থা করায় ময়মনসিংহের একাধিক নারীবাদী সংগঠন প্রতারক জুয়েলের কঠোর বিচার দাবি করেছেন।