মুসলিমদের দমিয়ে রাখতে এবং পাকিস্তানকে টার্গেট করতে নেতৃত্ব দেবে হিন্দু আধিপত্যবাদীদের রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) আদর্শ ভারতে । রোববার কাশ্মীরে ভারত সরকারের গৃহীত নীতির সমালোচনা করে এ কথা বলেছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, দখলীকৃত কাশ্মীরে ভারত যে নীতি গ্রহণ করেছে তা হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএসের। তারা বিশ^াস করে হিন্দু আধিপত্যবাদে। ইমরান খান ধারাবাহিক টুইট করেছেন এ নিয়ে। এতে তিনি আরএসএসের আদর্শকে নাৎসী আদর্শের সঙ্গে তুলনা করেন। তার টুইট এরকম- কারফিউ, দমনপীড়ন ও কাশ্মীরে আসন্ন গণহত্যা থেকে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসছে। তাতে দেখা যাচ্ছে নাৎসী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছে আরএসএস আদর্শ।
এ ছাড়া ইমরান খান আরএসএস’কে হিটলারের লেবেন¯্রামের সঙ্গে তুলনা করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
এতে
বলা হয়, গত সোমবার ভারত তার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ
মর্যাদা কেড়ে নেয়। কাশ্মীরি নেতাদের করা হয় গৃহবন্দি। আরোপ করা হয় কঠোর
কারফিউ। রোববার তা সপ্তম দিনে পড়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে পবিত্র ঈদুল আযহা
উপলক্ষে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে, তবে কাশ্মীরে এখনও ফোন, ইন্টারনেট সংযোগ
বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অধিবাসীরা টেলিভিশন অথবা রেডিও শোনার সুযোগ পাচ্ছেন না।
এর
প্রেক্ষিতে রোববার টুইট করেন ইমরান খান। তিনি তাতে আরএসএসের আদর্শকে
হিন্দু আধিপত্যবাদের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এই আদর্শ নাৎসী আরিয়ান
আধিপত্যের মতো। এর শেষ হবে না ভারত দখলীকৃত কাশ্মীরে। এর পরিবর্তে তা ভারতে
মুসলিমদের দমিয়ে রাখতে এবং পাকিস্তানকে টার্গেটে করতে উৎসাহিত করবে। তিনি
আরো বলেন, ভারতের বিজেপি সরকার জাতি নিধনের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরে
জনসংখ্যাতত্ত্ব পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করছে। প্রশ্নটা হলো- মিউনিখে হিটলারের
সময়ে বিশ^ যেমনটা করেছিল তেমনি এবারও কি তারা শুধু দেখবে আর তুষ্ট থাকবে?
একই রকম মতামত গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তারা (বিজেপি) কাশ্মীরে যা করছে, তা তারা করেছে তাদের আদর্শ অনুযায়ী। তাদের আদর্শ হলো সাম্প্রদায়িক। তারা (ভারতের রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলো) কাশ্মীরি জনগণের বিরুদ্ধে আরো কঠিন দমনপীড়ন চালাবে এখন। আমার ভয় হয় তারা স্থানীয় জনগণকে উৎখাতের জন্য জাতি নিধনের মতো পদক্ষেপ নিতে পারে। এমন মনোভাবের কারণে পুলওয়ামার মতো ঘটনা আবারও ঘটতে বাধ্য। আমি এরই মধ্যে পূর্বাভাষ দিয়েছি, এটা ঘটবেই।