বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলগামী ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাওয়া তো দূরে থাক, সঠিক সময়ে কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছাতে পারছে না গতবারের মত এবারও ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। ।
রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ভোর ৬ টায় ছেড়ে যওয়ার নির্ধারিত সময় ছিলো। কিন্তু ট্রেনটি কমলাপুরে এসে পৌঁছায় বেলা সোয়া ১০ টারও পরে। ছেড়ে যাওয়ার সম্ভব্য সময় দেয়া হয়েছিলো ১০টা ৪০ মিনিট। তারও ৫ মিনিট পরে ছেড়ে যায় বেলা পৌনে ১১ টায়। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দেরিতে এ ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮ টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয় বেলা সাড়ে ১২টা ৫ মিনিট।
রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯ টায় ছাড়ার কথা থাকলেও বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছেনি। দিনাজপুর-পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে বেলা সাড়ে ১১ টায়।
নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কোনো ট্রেন আসার সাথে সাথে শুরু হয় ট্রেনে ওঠার যুদ্ধ। ভেতরে তো দূরের কথা ছাদেও জায়গা থাকছে না।
যারা গত ৩১ জুলাই টিকিট সংগ্রহ করেছেন, তারাই আজ কমলাপুর স্টেশন থেকে বাড়ি ফিরছেন।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, ‘পথে যাত্রী নামতে দেরি হচ্ছে। আগে যেখানে প্রতিটি স্টেশনে উঠানামা করতে ২ মিনিট অপেক্ষা করার কথা সেখানে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই জন্য ঢাকা আসতেও দেরি হচ্ছে। যে ট্রেনগুলো পৌঁছাতে দেরি করছে, সেই ট্রেনগুলোর ছেড়ে যেতে দেরি হচ্ছে।’