সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ভারত সরকারের জম্মু-কাশ্মীর নীতির বিরোধিতা করে । সোমবার সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়। এ ছাড়া ওই অঞ্চলকে ভেঙে দুটি আলাদা ইউনিয়ন টেরিটোরি করার ঘোষণা দেয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা দিয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের এমপি আকরব লোন ও হাসনাইন মাসুদি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি সহ কয়েক শত রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার রাখা হয়েছে। অন্যদিকে জম্মু কাশ্মীর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। সেখানে নিয়মিত সেনাদের পাশাপাশি কমপক্ষে ৫০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছে সরকার।
আদালতে জমা দেয়া আবেদনে ন্যাশনাল কনফারেন্স দাবি করেছে, জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে সংবিধানের অধীনে। তাই প্রেসিডেন্ট চাইলেই তা বাতিল করতে পারেন না। তিনি এটা করলে তা সাংবিধানিকভাবে বাতিল হয়ে যায়। কারণ, এ বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীর অ্যাসেম্বলির কোনো সম্মতি নেয়া হয় নি।
ওদিকে জম্মু কাশ্মীর ভারতীয় প্রেসিডেন্টে শাসনের অধীনে আসার পর সরকার পরিষ্কার করেছে যে, এখন থেকে জম্মু কাশ্মীরের অ্যাসেম্বলী থাকবে ভারতের পার্লামেন্টের অধীনে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনে ন্যাশনাল কনফারেন্স বলেছেন, প্রেসিডেন্টই তো কাজ করেছেন মন্ত্রীপরিষদের পরামর্শে। এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে যে পরিবর্তন আসবে তার শিকারে পরিণত হবেন যারা তারা অথবা তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সম্মতি ছাড়া এ কাজ করা হয়েছে। একে খেয়ালখুশি মতো কাজ ও আইনের শাসনের পরিপন্থি বলে আখ্যায়িত করা হয়। এতে আরো বলা হয়, জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর (রিওর্গানাইজেশন) অ্যাক্ট, ২০১৯ এর অধীনে এই রাজ্যকে দুটি ইউনিয়ন টেরিটোরিতে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু এটা সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।