ঢাকা ছাড়ছেন নগরবাসী নানা দুর্ভোগকে সঙ্গী করে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে । গতকালের চেয়ে আজ শুক্রবার রাজধানীর রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডগুলোতে মানুষের ভিড় বেশি। আগে টিকিট নিশ্চিত না করায় অনেকেই বাসের টিকিট বিড়ম্বনায় ভুগছেন। অন্যদিকে ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে অনেককে। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে নির্ধারিত ট্রেনের দেখা পাচ্ছেন যাত্রীরা।
আজ ভোর থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপেচপড়া ভিড়। ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অনেকেই ঘন্টার পর অপেক্ষা করছেন স্টেশনে। কেউ বসে আছেন। কেউ পায়চারি করছেন। তাকিয়ে আছেন মনিটরের দিকে, দেখছেন ট্রেনে ছাড়ার সময়সূচি।
কেউ কেউ বারবার দায়িত্বরতদের কাছে জানতে চাচ্ছেন নির্ধারীত ট্রেনটি কখন আসবে, কখন ছাড়বে। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর মিলছে না।
নারী ও শিশুদের সঙ্গে নিয়ে এভাবেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা। আজ খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস কমলাপুর স্টেশন থেকে ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি ছেড়েছে সাড়ে ৮টার পর। একইভাবে ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা উত্তরবঙ্গগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’। কিন্তু সেটি তিন ঘণ্টা বিলম্বে সাড়ে ৯টার দিকে ছেড়ে গেছে।
যাত্রীরা জানান, ৩৭টি রুটের মধ্যে দু-একটি বাদে সব ট্রেনই বিলম্বে ছাড়ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে আজ শুক্রবার ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৩৪টি হচ্ছে নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেন; আর তিনটি ঈদ স্পেশাল।