দুটি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে আয়োডিন ক্রয়ের হিড়িক পরেছে রাশিয়ার । গত সপ্তাহে দুটি সামরিক ঘাটিতে বিস্ফোরণের পর এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। অনেকেই আশংকা করছেন, চেরনোবিলের মতো সেখানেও কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়াচ্ছে। আয়োডিন খেলে মানুষের শরীরে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কমে যায় এ বিশ্বাস থেকে আয়োডিন মজুদ রাখছে তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে ওই বিস্ফোরনের পর এ বিষয়টিকে স্পষ্ট করে একটি বিবৃতি প্রদান করেছিল। এতে জানানো হয়, লিকুইড প্রোপেলড রকেট ইঞ্জিনের বিস্ফোরণ থেকেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এতে কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছিল না।
তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ওই ঘটনায় ২ জন ও এর আগে সোমবার ঘটা আরেক দূর্ঘটনায় ১ জন নিহত হন।
এ ঘটনার পরই স্থানীয় শহর দুটিতে মানুষের মধ্যে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পরছে এমন আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। কর্তৃপক্ষ যদিও আশ্বস্থ করেছে বাতাসে তেজস্ক্রিয়তার পরিমান বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু পার্শ্ববর্তী শহর সেভেরোদভিনস্ক শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তাদের বাতাসে তেজস্ক্রিয়তা বাড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ ঘোষণা করেনি, কেনো এই বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে, স্থানীয়রা স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পরছে।
আরখাঙ্গেলস্ক শহরের এক ফার্মেসি জানিয়েছে, সকলেই এখন দিনভর আয়োডিন খুঁজতে
আসছে। ইতিমধ্যে শহর দুটির বেশিরভাগ ফার্মেসির আয়োডিন শেষ হয়ে এসেছে। আরেকটি
ফার্মেসির মালিক জানিয়েছেন, আমাদের কাছে এখনো কিছু আয়োডিন বাকি আছে।
কিন্তু যে হারে মানুষ আয়োডিন কিনতে আসছে তাতে একদিনেই তা শেষ হয়ে যাবে।
সেভেরোদভিনস্ক
শহরটি যুদ্ধ জাহাজ ও পরমাণু বোমাবাহী সাবমেরিন তৈরির জন্য সুপরিচিত।
দূর্ঘটনার পর রুশ কর্তৃপক্ষ ওই এলাকার একটি জাহাজ রুট বন্ধ করে দিয়েছে। এর
কারণ হিসেবে কিছু উল্লেখও করেনি তারা।