৩৭০ ধারা বাতিল এবং রাজ্যটিকে দ্বিখন্ডিত করে জম্মু-কাশ্মীরে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার তীব্র বিরোধীতা কংগ্রেস বজায় রেখেছে। লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বৃহষ্পতিবার বলেছেন, নবগঠিত কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে। মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে জোর করে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আমরা বুলেট নয়, জড়িয়ে ধরে কাশ্মিরীদের এগিয়ে নিয়ে যাব। কিন্তু আজ কাশ্মীরের পরিস্থিতি কনসেনট্রেশন ক্যাস্পের মতই। মোবাইল চালু নেই, চলছে না ইন্টারনেট। প্রভূত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও অমরনাথ যাত্রা বাতিল করা হল। সেখানে আসলেই হচ্ছেটা কি? অবশ্য লোকসভায় ভাষণে গত মঙ্গলবার বেফাঁস মন্তব্য করায় কংগ্রেস দল হিসেবে অস্বস্থিতে পড়েছিল।
অধীর বলেছিলেন, সরকার বলছে, বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু আসলেই কি অভ্যন্তরীণ বিষয়। ১৯৪৮ সাল থেকে সেখানে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরীক্ষণ রয়েছে। পরে অবশ্য অধীর ব্যাখ্যা দিযে বলেছেন, অযথা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হয়েছে। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কি হবে। এদিকে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদকে বৃহষ্পতিবার শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে। তাকে বিমানবন্দর থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। তিনি সেখানে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য গিয়েছিলেন। সুত্রের খবর, তাকে দিল্লিতে ফেরত পাঠানো হতে পারে। তবে এর আগেই কাশ্মীরের রাস্থায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার ছবি নিয়ে আজাদ মন্তব্য করেছিলেন, টাকা দিয়ে লোক জড়ো করে সব দেখানো হচ্ছে।