প্রতারণার অভিযোগে আশিকুল ইসলাম (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ কুষ্টিয়ায় । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার আশিকুল ইসলাম কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার রানাখড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে। দুই বছর আগে কুষ্টিয়ার কুঠিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ফারহানা ফারদিন পপিকে বিয়ে করেন তিনি।
আশিকুল তার স্ত্রীকে নাফিসা কামাল সাজিয়ে অজয় সুরেকা নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথা বলাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, আশিক তার ফেসবুকে নাফিসা কামালের নামে ভুয়া আইডি খুলে দেশের বড় বড় ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের ছবি দিয়ে থাকেন। যাতে যে কেউ সহজে তাকে বিশ্বাস করতে পারে।
ওসি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আশিকুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার তাকে কুষ্টিয়া আদালতে নেয়া হবে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম ফেসবুকে বিভিন্ন সময় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এসব কাজে তিনি তার স্ত্রীকে ব্যবহার করতেন।
সম্প্রতি আশিক তার মোবাইল ফোনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের মেয়ে নাফিসা কামালের নামে একটি ফেসবুক আইডি খোলেন। ওই আইডি থেকে নিজের স্ত্রীর মাধ্যমে কুষ্টিয়া শহরের অন্যতম ব্যবসায়ী অজয় সুরেকাকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে আশিকুল।
প্রথমে অর্থমন্ত্রীর মেয়ে সেজে ব্যবসায়ী অজয় সুরেকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন আশিকুলের স্ত্রী ফারহানা ফারদিন পপি। বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি ঠিকাদারি কাজ দেয়ার কথা বলে সখ্যতা গড়ে তোলেন পপি। আশিকের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখলে এবং তাকে সহযোগিতা করলে ঠিকাদারি কাজটি মিলবে বলেও অজয়কে জানান পপি।
তবে এ সময় আশিকের সঙ্গে অজয় সুরেকা দেখা করলে কয়েকটি মোটরসাইকেল লাগবে বলে জানান আশিক। তবে বিষয়টি অজয় সুরেকারের সন্দেহ হলে পুলিশকে জানান তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশিক বড়বাজার এলাকায় অজয় সুরেকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে পরিকল্পনা মতো পুলিশ গিয়ে আশিককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারের পর আশিক জানান, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই তার। অর্থমন্ত্রীর মেয়েকে তিনি কোনোদিন সরাসরি দেখেননি এবং তাদের কেউ তাকে চেনেনও না। নিজের স্ত্রীকে অর্থমন্ত্রীর মেয়ে সাজিয়ে প্রতারণার ফাঁদ ফেলেছিলেন তিনি।