‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে । আজ বুধবার ভোরে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাট সংলগ্ন কড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডিবি পুলিশের এএসআই আরিফুল হকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
নিহত যুবকের পিঠে তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। যুবকের লাশটি তার পরিবার বা স্বজনদের তরফ থেকে সনাক্ত করা হয়নি।
একাধিক সূত্র মতে, নিহত যুবক রুহুল আমিন রিপন (২৬)। তিনি পৈত্রিক সূত্রে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া এলাকার কালু মিয়ার ছেলে ও বৈবাহিকসূত্রে মীরগঞ্জে বসবাস করছিল।
তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তার ফেসবুক প্রোফাইলে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
জানা
যায়, বুধবার ভোরে ওই ঘটনার পর নিহত ‘অজ্ঞাতনামা’ যুবক এবং ওই ঘটনায়
পুলিশের ৪ জন আহত হওয়ার কথা শোনা গেলেও দুপুর ১টা পর্যন্ত সেই যুবকের পরিচয়
পাওয়াসহ পুলিশের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া
যায়নি। তবে ৫ই আগস্ট সকালে শহরের গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আনোয়ার
হোসেনকে ফাঁড়িসংলগ্ন বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনার জের
ধরেই এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় এএসআই
আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীর দায়ের করা মামলাতেও আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা।
এ
ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন ও ডিবির
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান অভিযানটি যৌথ ছিল বলে স্বীকার করলেও
অন্য কোন তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারা জানান, ঘটনার বিষয়ে পুলিশ
সুপার প্রেস ব্রিফিং করবেন।