পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ জন ও প্রতিপক্ষের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফে । নিহতরা হলেন আইয়ুব (৩৫), জোনায়েদ (৩২), মোস্তাক (৩১) ও ইমরান মোল্লা (২৭)। পুলিশের দাবি, এদের মধ্যে প্রথম তিনজন ডাকাত ছিলেন। প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত অপরজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। শনিবার মধ্যরাতে এসব ঘটনা ঘটে। ‘বন্ধুকযুদ্ধে’র ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাস জানান, শনিবার রাতে টেকনাফ উপজেলার নুরউললা ঘোনা নামক পাহাড়ে একাধিক মামলার পলাতক আসামি আবদুল হাকিম ডাকাত ও কুতুবদিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানার পলাতক আসামি জুনায়েদ ডাকাত, আয়ুব ডাকাত, মোস্তাক ডাকাতসহ ১০-১৫ জন অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
এ সংবাদ পেয়ে অভিযানে গেলে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে।
বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স প্রেরণ করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান গুলি করতে করতে কৌশলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে ডাকাতের গুলিতে তিনিসহ পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, এএসআই সজিব, কন্সটেবল মেহেদী গুলিবিদ্ধ হন।
পরে ‘গোলাগুলি’ থামলে অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ জুনায়েদ ডাকাত, আয়ুব ডাকাত ও মোস্তাক ডাকাতকে আহতাবস্থায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৭টি অস্ত্র, ৫টি কিরিচ, ২৫ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। গুরুতর আহত ডাকাত জুনায়েদ, আয়ুব, মোস্তাককে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে গভীররাতে এসআই মসিউর রহমান ফোর্সসহ মেরিন ড্রাইভ রোডের দরগার পাড়া এলাকায় ডিউটি করাকালীন একটি সিএনজিকে রাস্তার পাশে সন্দেহজনকভাবে দাঁড়ানো দেখতে পান। পুলিশ সেখানে গেলে এক ব্যক্তিকে গুলি করে ২ জন লোককে পালাতে দেখেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। আটককৃতরা হলেন, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার পশ্চিম এনায়েতপুরের মোখলেছুর রহমানের পুত্র সাইফুদ্দিন শাহিন (৩৮) ও টেকনাফ থানার হাতিয়ার ঘোনা এলাকার মৃত বাচা মিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিক (২৭)। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার গাংগিয়ারকুল গ্রামের মৃত জহির মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লা (২৭) কে উদ্ধার করে।
তারা জনৈক খলিলের নিকট থেকে ইয়াবা কিনে তা ইমরান মোল্লাকে খাইয়েছে বলে জানান। ইয়াবা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাইফুদ্দীন শাহীন ও মো. সিদ্দিক তাদের ব্যবসায়িক পার্টনার ইমরানকে গুলি করেছে বলে স্বীকার করে। গুলিবিদ্ধ ইমরান মোল্লাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুদ্দীন শাহীন ও মো. সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।