দুনিয়ার চোখে সেভেটলানা এবং ইউরি পান্টিলিঙ্কো সাধারণ দম্পতি। কিন্তু ২৩ বছর বয়সী ভাল্লুক স্টিফেনের চোখে অন্যরকম। অতি আপনজন। সাত ফুটের বেশি উচ্চতার স্টিফেন খুবই ঘরকুনো। সে এই দম্পতির সঙ্গেই খাবার খায়, টেলিভশন দেখে, খেলাধুলা করে। ভাল্লুকটি তাদের গৃহস্থালির কাজকর্মেও সাহায্য করে। এমনকী বাগানের গাছগুলোতেও পানি দেয়।
স্টিফেন প্রতিদিন এক বাটি ঝাউ খায়। তার প্রিয় খাবার হচ্ছে কনডেন্সড মিল্ক। তাছাড়া, সে হৃষ্টপুষ্ট থাকার জন্য ২৫ কেজির মত মাছ, শাকসবজি এবং ডিম খায়। স্টিফেন খাবার হজমের জন্য ফুটবলও খেলে।
সেভেটলানা ও ইউরি দম্পতি মাত্র তিন মাস বয়সে স্টিফেনকে দত্তক নেয়। দীর্ঘদিন ধরেই ভাল্লুকটি তাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু তার স্বভাব একদম শান্ত প্রকৃতির বলেই জানায় ওই দম্পতি।
সেভেটলানা বলেন, স্টিফেন আমাদের কাছে সন্তানের মত। রাতে টিভি দেখার সময় সে আমাদেরকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকে। আমরা যখন তাকে নিয়ে আসি তখন তার বয়স ছিল মাত্র তিন মাস। শিকারিরা তাকে জঙ্গলে খুঁজে পেয়েছিল। সে তার মায়ের কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। খুব শোচনীয় অবস্থায় তখন তাকে উদ্ধার করা হয়। স্টিফেন লোকজনদের খুবই ভালোবাসে এবং সত্যিই সে মিশুক। মানুষের ধারণা, ভাল্লুক খুব আক্রমণাত্মক হয়। কিন্তু সে একেবারেই এ রকম নয়। স্টিফেন আমাদের কখনোই আক্রমণ করেনি।
সেভেলটা আরও বলেন, স্টিফেনের অনেক প্রতিভা রয়েছে। সে বনভোজন করতে ভালোবাসে। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, স্টিফেন বাড়ির বাইরে কিছুই খায় না। সূত্র: ডেইলি মেইল।