দেশের ৬১.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেটসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) এক জরিপে উঠে আসে । এছাড়া এই জরিপে আরো বলা হয় এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬১.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে। যেখানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর হার ৪৫.৪ শতাংশ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হার ৬৯.২ শতাংশ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮২.৫ শতাংশ সামাজিক মাধ্যমে সংবাদ পড়ে ও শেয়ার করে। এখানে আরো উঠে আসে শুধুমাত্র ১২.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন গণমাধ্যমের সংবাদকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে। আর ২৭.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী কোন সংবাদ পাওয়ার পর সেটি পুনরায় যাচাই করে দেখে।
আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত গণমাধ্যম সাক্ষরতা বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। তারা ‘প্রোমোটিং মিডিয়া লিটারেসি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পর্যায়ে গণমাধ্যম সাক্ষরতা যাচাই বিষয়ে গবেষণার ফলাফল এই গোলটেবিলে উপস্থাপন করে।
এই বৈঠকের প্রধান অতিথি সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, আমাদের জীবনের জন্যই প্রযুক্তি প্রয়োজন, আর প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন গণমাধ্যম।
এই জরিপে দেশের ৮ টি বিভাগের ২৪ টি জেলার ১৬টি বিদ্যালয় ও ৮ টি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর ২৪শ’ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও ৪২ জন শিক্ষক ও অভিভাবকও অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ লুৎফর রহমান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের হেড অব এডুকেশন মুরশিদ আখতার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর মিডিয়া স্টাডিজ ও জার্নালিজম বিভাগের প্রধান ড. জুড উইলিয়াম হ্যানিলো। এতে সভাপতিত্ব করেন সাকমিডের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য নজর-ই জিলানী।