ঢাকা ২৯ মে : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়বে বলে জানিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘শিক্ষাখাতে বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। এটা অনুধাবন করে অর্থমন্ত্রী (আবুল মাল আব্দুল মুহিত) এবার শিক্ষাখাতের প্রতি আরো বেশি সহানুভুতি দেখাবেন। তিনি এখাতে এবার অর্থের পরিমাণ বাড়াবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
রবিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষায় বিনিয়োগ: প্রাক-বাজেট ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্র্যাক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক, নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ফাদার বেঞ্জামিন কস্তা পিএসসি ও ব্র্যাক কর্মসূচির পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া বরাদ্দের পুরোটাই প্রতিবছর ব্যয় করতে সক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি এই অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতি কমাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।’
অদূর ভবিষ্যতে বাজেটে শিক্ষাখাতে মোট জাতীয় আয়ের (জিডিপি) ৪ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের মত স্বল্প আয়ের দেশে জিডিপির কমপক্ষে ৪ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ থাকা বাঞ্ছনীয়।কিন্তু সেটা করতে আমরা এখনও সক্ষম হয়নি। আশা করি নিকট ভবিষ্যতে আমাদের এই প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
চলতি অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশ। যা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে আমরা আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির দক্ষতায় বিশ্বমানের নাগরিক হতে হবে। পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় দেশপ্রেমিকও হওয়া জরুরী।’