বেসরকারিভাবে প্রয়াত কাউন্সিলর বিএনপি নেতা একেএম জাফরুল ইসলামের ছেলে একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনে । তিনি মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে ৩ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মাসুদ করিম টিটু রেডিও প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৯ ভোট। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হলেও আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের (মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শহীদুল আলম ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মাসুদ করিম টিটু) কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দিনভর উত্তেজনা ছিল। তবে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওয়ার্ডের ১৭ ভোটকেন্দ্রের কোনোটিতেই ভোটারের লাইন দেখা যায়নি। এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৯ হাজার ৭৮২ জন। গতকালের নির্বাচনে ১৭ কেন্দ্রে ৬ জন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট হিসেব করে দেখা যায়, মোট ভোট পড়েছে ৯ হাজার ৩০৪টি। যা এই ওয়ার্ডের মোট ভোটারের প্রায় ১৯ শতাংশ (১৮.৬৮)। এরকম কম ভোটারের উপস্থিতি অতীতে চট্টগ্রামের কোথাও হয়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
ভোট গণনা শেষে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস জানায়, নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে মোহাম্মদ শহীদুল আলম (ঘুড়ি) ১৫৫৩ ভোট, মো. শফি (লাটিম) ১২৫১ ভোট, শেখ নায়েম উদ্দীন (ঠেলাগাড়ি) ৫৭৯ ভোট ও শাহেদুল ইসলাম (টিফিন ক্যারিয়ার) ১৫৪ ভোট পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজাদীকে জানান, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে ১৭টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি খুবই কম হওয়াতে আমরা কত শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে সেটা বলছি না; তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কারো কোনো ধরনের অভিযোগ ছিল না। কোনো ভোটও বাতিল হয়নি। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার মোতায়েন ছিল।
তিনি আরও বলেন, সব কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে দুজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য মোতায়েন ছিলেন। পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব-পুলিশের একাধিক টিম ছিল। একই সাথে বিজিবির টহল টিমও দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচনে ১৭ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ১২৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২৪৮ জন পোলিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণের দায়িত্বে পালন করেন।
বেলা সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, ইভিএমে ওই সময়ে ভোট পড়েছে মাত্র ৯৯টি। এর কিছুক্ষণ পর বিএড কলেজ ভোটকেন্দ্র-৪ এ দেখা যায় সেখানে পড়েছে ৭৫টি। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আলমগীর চৌধুরী জানান, তার কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ’ ২১ জন।
দুপুর দেড়টায় বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র-৮ এ গিয়ে দেখা যায় সেখানে ভোট পড়েছে দেড়শটি। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অর্পণ কুমার চৌধুরী জানান, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৭শ’ ৬৪ জন। ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। দুয়েকজন করে আসছেন।
ওয়ার্ডের ১৭ ভোট কেন্দ্রের আশপাশের মোড়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের দেখা যায়। এছাড়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগ, ওমরগণি এমইএস কলেজ এবং নগর ছাত্রলীগের বেশি কিছু নেতাকর্মীকে সেখানে অবস্থান করছিলেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে তারা কেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেননি। দুপুর দুইটা থেকে বৃষ্টি শুরু হলে নেতাকর্মীদের অবস্থান অনেকটা শিথিল হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম জাফরুল ইসলাম মারা যান। ১২ জুন পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদটি শূন্য হয়। এরপর উপনির্বাচনের তফসিল এবং গতকাল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |