গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন বালিশ দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে । তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। সরকারি ৩৪ কর্মকর্তা বা ব্যক্তি এ ঘটনায় নানা অনিয়ম এবং দ্নুীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এ ছাড়াও তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এতে জড়িত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ সচিবালয়ে বালিশ দুর্নীতি’র তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, এই দুর্নীতিতে জড়িতদের বরখাস্ত করা হবে। যারা চাকরিতে আছেন, গুরুতর অভিযোগের কারণে তাদের ১৬ জনকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অপর ১০ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী
শ ম রেজাউল করিম বলেন, সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে চার কর্মকর্তা বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
আমরা ওই মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে লিখেছি। নিজ মন্ত্রণালয়ের জড়িতদের সম্পর্কে
তিনি বলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়ের অধীনন্ত
কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন অবসরে আর তিনজন পিআরএলে আছেন। তারা যেহেতু
দায়িত্বে নেই তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন আইনিব্যবস্থা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট
বিভাগকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য,
মেগাপ্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিন সিটিতে আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে
লাগামছাড়া দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে একটি
বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর দাম বাবদ ৫ হাজার
৯৫৭ টাকা আর সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ ৭৬০ টাকা উল্লেখ করা
হয়েছে। সংবাদটি প্রকাশের পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে।