স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক এম আক্তারুজ্জামান এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে সাকুরা সাবের এবং সালেহ মোহাম্মদ আরিফ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট এখন ধরে ধরে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, গির্জার পাদ্রী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ নিরীহ সাধারণ মানুষ হত্যা করে চলেছে। তাদের উদ্দেশ্য শুধু দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করে আদালতের রায় কার্যকর হতে না দেয়াও তাদের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য।
সাম্প্রতিকালের ভয়াবহ জোড়া খুনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টায় রাজধানীর কলাবাগানে ইউএসএআইডি কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান এবং তার এক বন্ধুকে খুন করা হয়।
উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই বিদেশে যাই তখনই আমাকে একটা প্রশ্ন মোকাবেলা করতে হয়- এই অসম্ভব সম্ভব হয় কী করে, এটা একটা মিরাকল। কীভাবে বাংলাদেশ এতো উন্নয়ন করতে পারল? তিনি বলেন, আমরা বাজেট তিন গুণ বৃদ্ধি করেছি। সামনের বাজেট আরও বড় বাজেট আসছে। সেটা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৫ করেছি। আমাদের মাথাপিছু আয় ১৬৪৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে দুই হাজার ডলারের কোটা ছাড়িয়ে যাবে।
রপ্তানি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যেহেতু বেড়েছে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাড়ছে। ৫ শতাংশ মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে এসেছে। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি মানুষ নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে উঠে আসতে পারে।
দেশ নিয়ে হতাশা নয়, আশাবাদের কথা বলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় বাংলাদেশ শুনলে অনেকে নাক সিঁটকাত, অসম্মানের চোখে দেখত। বাংলাদেশের কিন্তু সেই অবস্থান এখন আর নেই। এই সম্মানটা ধরে রাখার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের প্রবাসীদের ওপর বর্তায়।