ঢাকা ২৯ মে : ৭০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মর্মান্তিক মৃত্যু লিবিয়া উপকূলে গত তিন দিনে পর পর তিনটি জাহাজডুবিতে কমপক্ষেহয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন এই খবর প্রকাশ করেছে।গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলো ঘটে।
সাগরে চলাচলের অনুপযোগী নৌকায় করে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার সময় এসব প্রাণহানি হয় বলে ধারণা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের। এদিকে ইতালীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,এছাড়া গত এক সপ্তাহে ভূমধ্যসাগর থেকে ১৩ হাজার অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র চারলোত্তা স্যামি বলেন, বুধবার মানবপাচারকারীদের ব্যবহৃত একটি নৌকা ডুবে যায়। ওই নৌডুবির ঘটনায় এখনও ১শ আরোহী নিখোঁজ রয়েছেন।
স্যামি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালেও লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল থেকে যাত্রা করার পর একটি নৌকাডুবি হয়েছে। ওই নৌডুবির ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৫শ মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান তিনি। অভিবাসীদের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে স্যামি বলেন, নৌকাটির কোনও ইঞ্জিন ছিল না। ডুবে যাওয়ার আগে অন্য একটি নৌকার সঙ্গে এটির ধাক্কা লেগেছিল। ডুবে যাওয়া নৌকার ২৫ জন আরোহী কোনও রকমে প্রথম নৌকাটিতে উঠতে সক্ষম হন। আন্তর্জাতিক টহল নৌকাগুলো ৭৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। এছাড়া ১৫টি মৃতদেহও উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন স্যামি।
তিনি আরও জানান, তৃতীয় নৌকাডুবিটি হয় শুক্রবার। ওই নৌকাডুবির ঘটনায় ১৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪৫টি মৃতদেহও উদ্ধার হয়েছে। এখনও অজানা সংখ্যক অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন। উন্নত জীবনের আশায় লিবিয়া থেকে প্রতি সপ্তাহে অগণিত সংখ্যক অভিবাসী ইউরোপে পাড়ি দেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রধান গন্তব্য ইতালির দক্ষিনাঞ্চলীয় দ্বীপ। তবে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার সময় প্রায়ই ঘটছে নৌকাডুবির ঘটনা। প্রতিবছর শত শত অভিবাসী নৌডুবির শিকার হচ্ছেন।
এদিকে ভূমধ্যসাগরে ভাসমান বেশ কয়েকটি অভিবাসীবাহী নৌকা থেকে শনিবার আরও ৬৬৮ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালীয় কর্তৃপক্ষ। আর এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে সাগর থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক দিন ধরেই ইতালীয় দ্বীপ সিসিলির দক্ষিণে সাগরে বহুদেশীয় টহল চলছে। শনিবার আইরিশ ও জার্মান টহল জাহাজের সহায়তায় ইতালীয় কোস্টগার্ড ছয় শতাধিক অভিবাসীকে উদ্ধার করে। আফ্রিকা থেকে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই সকল অভিবাসী।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গত কয়েক বছর ধরেই অনেক নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবেছে যেগুলোর হদিস মেলেনি কিংবা নিহতদেরও পাওয়া যায়নি। যখন নিখোঁজদের স্বজনরা জানান যে লিবিয়া থেকে যাত্রার পর তাদের প্রিয়জন আর ফেরেননি তখনই নৌকাগুলো ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হয়।
সাগরে চলাচলের অনুপযোগী নৌকায় করে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার সময় এসব প্রাণহানি হয় বলে ধারণা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের। এদিকে ইতালীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,এছাড়া গত এক সপ্তাহে ভূমধ্যসাগর থেকে ১৩ হাজার অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার ইউএনএইচসিআর-এর মুখপাত্র চারলোত্তা স্যামি বলেন, বুধবার মানবপাচারকারীদের ব্যবহৃত একটি নৌকা ডুবে যায়। ওই নৌডুবির ঘটনায় এখনও ১শ আরোহী নিখোঁজ রয়েছেন।
স্যামি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালেও লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল থেকে যাত্রা করার পর একটি নৌকাডুবি হয়েছে। ওই নৌডুবির ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৫শ মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান তিনি। অভিবাসীদের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে স্যামি বলেন, নৌকাটির কোনও ইঞ্জিন ছিল না। ডুবে যাওয়ার আগে অন্য একটি নৌকার সঙ্গে এটির ধাক্কা লেগেছিল। ডুবে যাওয়া নৌকার ২৫ জন আরোহী কোনও রকমে প্রথম নৌকাটিতে উঠতে সক্ষম হন। আন্তর্জাতিক টহল নৌকাগুলো ৭৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। এছাড়া ১৫টি মৃতদেহও উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন স্যামি।
তিনি আরও জানান, তৃতীয় নৌকাডুবিটি হয় শুক্রবার। ওই নৌকাডুবির ঘটনায় ১৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪৫টি মৃতদেহও উদ্ধার হয়েছে। এখনও অজানা সংখ্যক অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন। উন্নত জীবনের আশায় লিবিয়া থেকে প্রতি সপ্তাহে অগণিত সংখ্যক অভিবাসী ইউরোপে পাড়ি দেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রধান গন্তব্য ইতালির দক্ষিনাঞ্চলীয় দ্বীপ। তবে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার সময় প্রায়ই ঘটছে নৌকাডুবির ঘটনা। প্রতিবছর শত শত অভিবাসী নৌডুবির শিকার হচ্ছেন।
এদিকে ভূমধ্যসাগরে ভাসমান বেশ কয়েকটি অভিবাসীবাহী নৌকা থেকে শনিবার আরও ৬৬৮ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইতালীয় কর্তৃপক্ষ। আর এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে সাগর থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক দিন ধরেই ইতালীয় দ্বীপ সিসিলির দক্ষিণে সাগরে বহুদেশীয় টহল চলছে। শনিবার আইরিশ ও জার্মান টহল জাহাজের সহায়তায় ইতালীয় কোস্টগার্ড ছয় শতাধিক অভিবাসীকে উদ্ধার করে। আফ্রিকা থেকে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই সকল অভিবাসী।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গত কয়েক বছর ধরেই অনেক নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবেছে যেগুলোর হদিস মেলেনি কিংবা নিহতদেরও পাওয়া যায়নি। যখন নিখোঁজদের স্বজনরা জানান যে লিবিয়া থেকে যাত্রার পর তাদের প্রিয়জন আর ফেরেননি তখনই নৌকাগুলো ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হয়।