অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন প্রিয়া সাহা তার সঙ্গে একমত নন । ড. বারকাতের গবেষণার বরাত দিয়ে ওই তথ্য দিয়েছেন বলে প্রিয়া সাহা এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন। প্রিয়া সাহা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেশত্যাগ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু তথ্য-উপাত্ত বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন উল্লেখ করে গণমাধ্যমে একটি ব্যাখ্যা পাঠিয়েছেন আবুল বারকাত।
এতে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতকালে তিনি (প্রিয়া সাহা) বলেছেন যে, বাংলাদেশে ৩৭ মিলিয়ন (৩ কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। এর পরে ভিডিও-সাক্ষাতকারে তিনি আমরা নাম উল্লেখ করে বলেছেন যে, উল্লেখিত পরিসংখ্যান আমার গবেষণা উদ্ভূত তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে মিলে যায় (অথবা একই)। তিনি এও বলেছেন যে, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৬৩২ জন লোক হারিয়ে যাচ্ছে।
আবুল বারকাত তার গবেষণার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আমার হিসেবে প্রায় পাঁচ দশকে (১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত) আনুমানিক ১ কোটি ১৩ লক্ষ হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ নিরুদ্দিষ্ট হয়েছেন (উৎস: আবুল বারকাত, ২০১৬, বাংলাদেশে কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের রাজনৈতিক অর্থনীতি, পৃ:৭১)। অর্থাৎ আমি কোথাও ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন-এ কথা বলিনি। উপরন্তু‘ তিনি কোথাও বললেন না যে আমার গবেষণা তথ্যটির সময়কাল ৫০ বছর-১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত।
বারকাত বলেন, প্রিয়া সাহা কখনও আমার সহ-গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারী ছিলেন না।
২০১১ সালে সরকারি আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে ১৯০১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মোট জনসংখ্যায় বিভিন্ন ধর্মগোষ্ঠির আনুপাতিক হার উল্লেখ করেছি মাত্র। একজন সমাজ গবেষক হিসেবে আমি নিশ্চিত হতে চাই যে প্রিয়া সাহা আমার নাম উল্লেখপূর্বক যেসব বিভ্রান্তিমূলক ও নীতি গর্হিত বক্তব্য দিয়েছেন তিনি অতি দ্রুত তা প্রত্যাহার করবেন।