যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসেবে কাজ করে তাদের সহসাই রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনব তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন। নিবন্ধন পেতে এ পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদন করেছে। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ কার্যঅধিবেশন হয়। ডিসিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিসি সম্মেলনে নিউ মিডিয়া এবং এর চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
অনলাইন মিডিয়ার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার বিষয় সেখানে আলোচিত হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে সব অনলাইনকে নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছি। আজ (গতকাল) দরখাস্ত করার শেষ দিন। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে আট হাজারের বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে।
তিনি বলেন, আট হাজার অনলাইন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু যৌক্তিক সে প্রসঙ্গটুকু অবশ্যই আসে।
আমরা এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলো আসলে প্রয়োজন আছে, যেগুলো অনলাইন হিসেবে সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পারবে বা করার সক্ষমতা রাখে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে দরখাস্ত করা হয়নি সেগুলোকে আমরা নিবন্ধনের আওতায় আনব। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে। আমরা আশা করছি যখন এ নিবন্ধনটা হবে সেখানে একটি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। অনলাইন নিবন্ধনের আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কতদিন লাগবে- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আট হাজার তো, যাচাই-বাছাই করতে একটু সময় লাগবে। যত দ্রুত সম্ভব, যেগুলো সত্যিকার অর্থে অনলাইন হিসেবে কাজ করে তাদের সহসাই এই নিবন্ধনের আওতায় আনব। যেগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে সেগুলোকে তো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিউ মিডিয়ার যে চ্যালেঞ্জ, সোশ্যাল মিডিয়ার যে চ্যালেঞ্জ, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নয়, এটি পুরো পৃথিবীতেই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি ইউরোপে চ্যালেঞ্জ, নর্থ আমেরিকসহ সব দেশেই এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই যাচ্ছি। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য যে আইন সেই আইন বাস্তবায়নে ক’দিন আগে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। টেলিভিশনের ক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগে বিশৃঙ্খলা ছিল, বাংলাদেশে চ্যানেলের মধ্যে হঠাৎ করে বিদেশি চ্যানেল ঢুকে যেতে।
কেবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করেন তাদের সাথে সম্পর্কের আলোকে বা অন্য কোনো বিষয়ের আলোকে সিরিয়াল নির্ধারিত হতো। এখন সেখানে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজের সব শ্রেণির মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এর যাতে অপব্যবহার না হয় সে জন্য আমরা আলোচনা করেছি। এই অধিবেশনে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদও অংশ নেন।