আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা চলে ভোটগ্রহণ। এখন চলছে গণনা। বেশির ভাগ ইউনিয়নের ফলাফল রাতেই পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আগের পর্বগুলোর মতো এ পর্বেও সরকারি দলের ৪২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। শতাধিক ইউনিয়নে বিএনপির কোনো প্রার্থী ছিল না।
আগের পর্বগুলোর মতো এবারও সংঘর্ষ-সহিংসতা, ব্যালট ছিনতাই, কেন্দ্র দখল, নির্বাচন বর্জন ও অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জামালপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে নয়জনের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
গত চার ধাপের নির্বাচনে সহিংসতায়ও ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া নজিরবিহীন কারচুপির অভিযোগও ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চম ধাপের নির্বাচন অনেকটা সুষ্ঠু করার আশ্বাস দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচনের শুরুর দিকে কিছুক্ষণ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ঘোলাটে হতে থাকে। ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গা থেকে আসে সংঘর্ষের খবর। অধিকাংশ সংঘর্ষ হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের সঙ্গে বিদ্রোহী ও বিএনপির সমর্থকদের।
তবে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও এটাকে আগের চেয়ে ‘উন্নতি’ দেখছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ ভোটগ্রহণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সহিংসতা থামাতে তাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি ছিল না; তাদের পদক্ষেপের ফলে সহিংসতা কমে এসেছে বলেও দাবি করেন তিনি।