ঢাকা মে ২৮ : আগামী ৪ জুন (শনিবার) সরকারি সফরে সৌদি আরব যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে সৌদি বাদশাহসহ দেশটির শীর্ষ নেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
এসব বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও সন্ত্রাস দমন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা উঠে আসবে।
শনিবার (২৮ মে) সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কূটনীতিক সূত্রগুলো বলছে, জেদ্দায় পৌঁছানোর পর ৫ জুন (রোববার) সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকে সৌদিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করা, বিনিয়োগ ও সন্ত্রাসবাদ দমনসহ অন্যান্য সহযোগিতার বিষয়ে উভয় সরকার প্রধানের মধ্যে আলোচনা হবে।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময়সূচি চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়েছে সৌদি আরব সরকার।
গত বছর শেখ হাসিনাকে জেদ্দা সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। ওই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের মধ্য দিয়ে সেখানকার শ্রমবাজার বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত হতে পারে। বাড়তে পারে বাংলাদেশে সৌদি আরবের বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহযোগিতাও।
সফরকালে দু’দেশের মধ্যে বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে বলে নিশ্চিত করেছে কূটনীতিক সূত্র।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও উপ-যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ, রাজ পরিবারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সৌদি আরবের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক করার কথা রয়েছে।
দূতাবাস সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বাণিজ্যের পাশাপাশি জঙ্গি তৎপরতা বন্ধেও সহযোগী শক্তি হতে পারে সৌদি আরব। প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্য দিয়ে এ সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।
সফরে বিনিয়োগ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি চুক্তি এবং বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক-সেবিকাসহ দক্ষ শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে আরেকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, হালকা প্রকৌশল, হালাল মাংসসহ বিভিন্ন সামগ্রী আমদানি করতে চায় তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব।
এসব বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস সূত্র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে সৌদি আরব যাচ্ছেন- তার ছোট বোন শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, শীর্ষ ব্যবসায়ীসহ জ্যেষ্ঠ কয়েকজন সাংবাদিক ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা।