খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পিয়াজের দাম গড়ে ১৫ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির তেমন কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন পাইকারি বিক্রেতারা। কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। ঈদুল ফিতরের পর স্থিতিশীল থাকলেও হঠাৎ করেই রাজধানীর বাজারগুলোতে পিয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। গত দুই দিনে খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে অস্বাভাবিকভাবে দ্বিগুনের বেশি দাম বেড়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা পিয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সরবরাহ ও আমদানি মূল্য কম থাকার পরও বাড়তি মুনাফা করার জন্য দাম বাড়িয়েছেন চক্রটি। অন্যদিকে, ভোক্তারা মনে করেন, বাজার পর্যবেক্ষণ না থাকার কারণে এরকম দাম বেড়েছে। এখনি বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার না করা গেলে পিয়াজসহ অন্য মসলারও দাম বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান তারা।
দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন মৌসুমে পিয়াজ তোলার সময় বৃষ্টি ছিল। এতে নষ্ট হওয়ার ভয়ে দেশি পিয়াজ আগাম বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে, আড়তগুলোতে এখন দেশি পিয়াজ কম সরবরাহ হচ্ছে। তাছাড়া সামনে কোরবানির ঈদ এবং ভারতীয় বাজারে পিয়াজের দাম বৃদ্ধির কথা বলেন তারা।
কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাত দেখালেও পিয়াজ কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীদের ওপর।
বাজারে গত শুক্রবার পর্যন্ত দাম অপরিবর্তিত থাকলেও রোববার হঠাৎ করে পিয়াজের দাম কেজিতে ১৮ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিপাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হয়েছে ২২৫ টাকায়। শুক্রবার প্রতিকেজির দাম ছিল ২৫ থেকে ২৭ টাকা এবং পাল্লা ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। গত রোববার থেকে রাজধানীর খুচরা দোকান ও মুদি দোকানগুলোয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে, শুক্রবারেও যা ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।