ঢাকা ২৮ মে :টোকিও, জাপান : দেশে আন্তর্জাতিক মানের নতুন বিমানবন্দর নির্মাণে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জাপান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনঝো আবে এ আশ্বাস দেন। ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ নামে এই নতুন বিমানবন্দর নির্মিত হবে ঢাকা থেকে ৩০-৪০ কিলোমিটার দূরত্বের এলাকার মধ্যে।
শনিবার (২৮ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় জাপানের নাগোয়ায় মারিওট অ্যাসোসিয়া হোটেলে শেখ হাসিনার সঙ্গে শিনঝো আবের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি হয়। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানী টোকিওর মান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। বৈঠকে অংশ নেন তারাও।
সচিবরা জানান, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় নতুন ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর‘ নির্মাণে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হলে সে ব্যাপারে আশ্বাস দেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে শিনঝো আবে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণেও সহযোগিতা করার কথা জানান। তিনি শেখ হাসিনাকে বলেন, শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণে সহযোগিতায় থাকবে জাপান।
বৈঠকে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের স্থান নিয়েও আলাপ হয়েছে বলে জানান সচিবরা। তারা বলেন, এই বিমানবন্দর ঢাকা থেকে ৩০-৪০ কিলোমিটার দূরত্বের এলাকার মধ্যে হবে। তার আগে অবশ্য ফিজিবিলিটি স্টাডি বা সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষাও করবে জাপান।
শিনঝো আবের সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর নাগোয়ার আবাসস্থল হোটেল হিলটনে বৈঠক হয় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে।
সেখানে শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনা জানান, বন্যায় তাদের ক্ষয়ক্ষতিতে প্রয়োজন অনুযায়ী সহযোগিতা দেওয়া হবে। সে নির্দেশনাও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলে জানান সিরিসেনাকে।
সকালে এ দু’টি বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নাগোয়া থেকে দুপুরেই ট্রেনযোগে টোকিওতে আসেন। এখানে তিনি ওঠেন মান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে। বিকেলে উদ্বোধন করেন জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সারি ভবনের। ৭১৪ স্কয়ার মিটার জায়গার ওপর অত্যাধুনিক নকশায় নির্মিত চারতলা ভবনটির উদ্বোধনের পর আবারও টোকিওর আবাসস্থল মান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।