এক বছরে ২৮.৩৩ শতাংশ বেড়েছে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশীদের আমানতের পরিমাণ । ২০১৮ সালে ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশীদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ কোটি ৭৭ লাখ ২০ সুইস ফ্রাংক বা ৫ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের অর্থ জমা রাখার হার প্রায় ২৭ শতাংশ কমে এসেছিল। জমা পড়েছিল। ছিল ৪ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে এমন অর্থের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি বৃহ¯পতিবার প্রকাশিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের অনিশ্চয়তার কারণে সুইস ব্যাংকগুলোতে বেড়েছে টাকা জমার হার।
অভিযোগ রয়েছে, সুইস ব্যাংকগুলোয় কালো টাকা জমা রাখা হয়। তবে এসএনবির প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, সাধারণত কর ফাঁকি দিতে সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখা হয়। তবে অনেকক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ব্যাংকগুলোয় অর্থ জমা রাখেন। বিদেশি সংস্থাগুলোর সঙ্গে অর্থ লেনদেন করতে হয় এমন ব্যবসায়ীরাও সেখানে টাকা জমা রাখতে পারেন। গত কয়েক দশক ধরে সুইজারল্যান্ড বিশ্বজুড়ে ধনী ব্যক্তিদের নিরাপদে অর্থ রাখার ব্যবস্থা করে আসছে। তাদের ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের তথ্য গোপন করার আইন অত্যন্ত কঠোর। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক চাপে কিছু কিছু তথ্য প্রকাশ করছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কোন দেশের নাগরিকদের কত অর্থ জমা আছে তা প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়। তবে একক অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ করা হয় না। সুইজারল্যান্ডে ব্যাংকের সংখ্যা ২৪৮টি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশে অর্থ জমা রাখা অবৈধ নয়। তবে অনেকে কর ফাঁকি দিতে বা অবৈধ অর্থ লুকিয়ে রাখতে এমনটা করে থাকেন।