অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ঋণ নেয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন । তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ আর ঋণ নেবে না, সারা বিশ্বকে ঋণ দেবে। এ সময় সংসদ নেতাসহ সংসদে উপস্থিত অন্যান্য সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে তার এই বক্তব্যকে স্বাগত জানান। শনিবার প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সমাপনী আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সুফল ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এই বাজেটটি শুধু একটি বছরের জন্য নয়। এই বাজেটটির ফাউন্ডেশন এই বছর। কিন্তু এই বাজেট থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত অর্জন করতে পারব।
সেইভাবে আমরা বাজেটটি প্রণয়ন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৪ সালে আমরা ডাবল ডিজিট গ্রোথে পা রাখব। ২০২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এই বাজেটের ফলাফল পাব। তিনি বলেন, একটা দেশ এবং জাতির সঙ্গে অনেক মিল আছে। মানুষের জীবনে যেমনিভাবে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনিভাবে দেশের ক্ষেত্রেও সেটা সম্ভব হয়। দেশের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় বলেই আমরা আমাদের এই বাজেটে টাইটেল রেখেছি সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কি দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই? ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে, কাক্সিক্ষত জায়গায়। চায়নার অবস্থা কি ছিল? চায়না সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল। চায়নায় কোনো খাবার ছিল না। চায়না আজকে পৃথিবীর এক নম্বর দেশ। তিনি বলেন, যদি চায়না পারে, মালয়েশিয়া পারে, সাউথ কোরিয়া পারে তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই পারবে। গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে সবাই মিলে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছেন। ট্রেন একবার যখন ট্র্যাকের ওপর উঠে যায় তখন আর ট্রেন পেছনের দিকে যায় না। কোনো জাতি নাই আমাদেরকে এখান থেকে গতিচ্যুত করতে পারবে। আমরা এগোবই, এগোবই ইনশা আল্লাহ। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা বেশি ঋণ করি কি না? আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। মালয়েশিয়ার এর চেয়ে বেশি। ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হয় জিডিপি দিয়ে। আমরা ঋণ নেই চায়নার কাছ থেকে। চায়নার ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২৮৪ শতাংশ। ওরা আমাদেরকে ঋণ দেয়। আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৩৪ শতাংশ। ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না। আমরা ঋণ দিব ইনশা আল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দিবো আমরা।