গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিসেক (কমব্যাটিং কমার্শিয়াল সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অব চিলড্রেন) প্রকল্প এ্যাকসেস টু জাস্টিস অব চিলড্রেন ভিকটিম অব কমার্শিয়াল সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন এর উপর ।
আজ রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার-ইন মিলনায়তনে সিসেক প্রকল্পের আওতাধীন এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা টেরে ডেস হোমস নেদারল্যান্ড।
এতে এ্যাকসেস টু জাস্টিস অব চিলড্রেন ভিকটিম অব কমার্শিয়াল সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন এর উপর গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন সুপ্রিম কোর্ট এ্যাডভোকেট ও প্রকল্পের পরামর্শক মো. তাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের কো-চেয়ার এ্যারোমা দত্ত বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমডিজি বাস্তবায়নের পর এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পথশিশুসহ সকল ধরণের শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন বন্ধসহ তাদের পুনর্বাসনে সকল ধরণের ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিয়েছেন।”
২০২৫ সালের মধ্যে এ ধরণের শিশুর সংখ্যা শূন্য কোটায় নেমে আসবে বলে জানান তিনি।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অড্রে মেইলট, টিম লিডার-গর্ভনেন্স
ডেলিগেশন অব ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ঢাকা ও মো. মঈনুল কবির, অতিরিক্ত সচিব আইন,
বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অড্রে মেইলট বলেন শিশুদের উপর যৌন
নির্যাতন বন্ধসহ সকল ধরণের পুনর্বাসন ব্যবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় পাশে
থাকবে। সরকারের সাথে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমেই সেটি করা হচ্ছে।
তিনি এ সময় টেরে ডেস হোমস নেদারল্যান্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে যৌন নির্যাতনের
শিকার শিশুদের স্বার্থে ভবিষ্যতে তাদের পাশে থাকার কথাও বলেন।
অনুষ্ঠানে
মূল আলোচক হিসেবে মো. মঈনুল কবির বলেন বর্তমান সরকার এ্যাকসেস টু জাস্টিস
অব চিলড্রেন ভিকটিম অব কমার্শিয়াল সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশনের উপর অনেক
নীতিমালা গ্রহণ করেছে। এই সমস্যা দূরীকরণে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে
এবং ভবিষ্যতেও নিবে।
এতে স্বাগত বক্তব্য ও অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন টেরে ডেস হোমস নেদারল্যান্ড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহমুদুল কবির।
সিসেক
সিপের (সোশ্যাল এন্ড ইকোনোমিক ইনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম) একটি প্রকল্প যা
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮, ৯ এবং ১০ নং ওয়ার্ড এলাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন
এর আর্থিক সহায়তায় এবং টেরে ডেস হোমস, নেদারল্যান্ডস এর কারিগরী সহযোগিতায়
বাস্তবায়ন করছে। ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স (বিটিএস) এই প্রকল্পে মনোসামাজিক
সেবা প্রদান করে এসেছে।