ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় রুহুল আমিন নামে এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ টাঙ্গাইলের সখীপুরে । তিন জিন তাড়াতে এসেছিলেন পঞ্চম শ্রেণির এই ছাত্রীর।
বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বড়কা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার রুহুল আমিনকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ওই ছাত্রীর মা গত সোমবার সখীপুর থানায় রুহুল আমিনকে আসামি করে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন। রুহুল আমিন একবছর ধরে সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন পদে চাকরি করত। ওই ঘটনার পর থেকে সে গা ঢাকা দেয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণি ছাত্রীর মাথা ব্যথা সারাতে ঝাড়-ফুক দিতে ছাত্রীর বাড়িতে যায় রুহুল আমিন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে জিনে ধরেছে বলে জানায় রুহুল আমিন। ছাত্রীকে একা একটি ঘরে নিয়ে চোখে সরিষার তেল লাগিয়ে দেয়। ঝার-ফুকের এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার করে ওঠে। চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন মুয়াজ্জিনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এ বিষয়ে শালিস করা হবে বলে স্থানীয় মাতাব্বররা রুহুল আমিনকে ছেড়ে দেয়।
সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।