ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাপের কামড়ে আহত আট্টাপর্ন বোনমাকচুয়াই নিজের ঘরে টয়লেট ব্যবহার করার সময় এই আক্রমণের শিকার হন। সাপের কামড়ের বিষয়টি তিনি তৎক্ষণাত বুঝতে পারার পর পরই তিন সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন।বিপদ বুঝতে পরে কামড় খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিৎকার করে স্ত্রীর সাহায্য চান। স্ত্রী আসার আগেই তিনি সাপের সঙ্গে লড়াই শুরু করে দেন। এক পর্যায়ে সাপটিকে তিনি বাগে এনে ফেলেন। বিশালাকার অজগরের সঙ্গে দুর্দান্ত এই লড়াইয়ে সময় পুরো কক্ষ তখন রক্তে ভেজা। লোকটি পিচ্ছিল এই সাপের হাত থেকে বাঁচতে একের পর পর কৌশল প্রয়োগ করতে থাকেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আট্টাপর্ন লড়াইয়ের এক পর্যায়ে কৌশলে সাপের মাথার চারপাশ দঁড়ি দিয়ে বেঁধে দরজার হাতলে আটকে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত সাপ লোকটির পুরুষাঙ্গ ছেড়ে দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি সাপটির। দীর্ঘক্ষণ সাপের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে থাইল্যান্ডের ওই নাগরিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে পুরুষাঙ্গটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও শেষ রক্ষা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, টয়লেটের পাইপে সাঁতার কাটছিল সাপটি। একপর্যায়ে কমোডে ভেতরে চলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের খবর দিলে তারা এসে টয়লেট ভেঙে বিশাল আকৃতির সাপটিকে বের করে আনে।তখনও সাপটি জীবিত ছিল।সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া হবে বলে তারা জানান।