ঢাকা ২৪ মে : আপিল বিভাগ ফৌজদারি কার্যবিধির বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার (৫৪ ধারা) ও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ধারা (১৬৭ ধারা) প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা করে দেয়ার কথা জানিয়েছে ।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
আদালত বলেছে, ‘আপিল খারিজ করা হলো। হাইকোর্টের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে ৫৪ ধারা ও ৬৭ ধারার কিছু বিষয় সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে হাইকোর্ট কয়েক দফা সুপারিশ করেছে। এ বিষয়ে কিছু সংশোধনী থাকবে। আমরা একটি নীতিমালা ঠিক করে দেব।’
আদালত থেকে বেরিয়ে রিট আবেদনকারী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলি বহাল থাকছে। তা মানায় এক ধরনের বাধ্যবাধকতা তৈরি হল। ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল।’
রিট আবেদনকারী পক্ষের আরেক আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমান বলেন, ‘অন্য একটি মামলায় আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৯ এবং ৪৩৯ এ ধারা পরস্পরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে তা সংশোধনের পক্ষে রায় দিয়েছিল। কিন্তু ৩৩ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে আপলি বিভাগ দুঃখ প্রকাশ করেছে।’
ইদ্রিসুর, আজ এই মামলায় আপিল বিভাগ বলেছে, হাইকোর্টের সুপারিশগুলো কিছু সংশোধন করে একটি গাইড লাইন করে দেবে। গাইডলাইনে কী থাকবে তা পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে জানা যাবে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মনে হচ্ছে ঊনবিংশ শতাব্দি থেকে আমরা একবিংশ শতাব্দিতে প্রবেশ করছি।’
রায়ের সময় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।