এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে পরিবারের কাছে চিরকুট লিখে কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মুন্নি আক্তার (১৬) নামে । মুন্নি চন্দ্রঘোনা কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়। সে ওই এলাকার মো. কাসেমের মেয়ে।
শনিবার (১ জুন) বিকাল চারটার দিকে চন্দ্রঘোনার কয়লার ডিপো এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। মুন্নির ভাই মোশাররফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাপ্তাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল বলেন, ‘শনিবার বিকালে মরদেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এ বিষয়ে পরবর্তীতে তদন্ত করলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
মুন্নির ভাই মোশাররফ হোসেনবলেন, ‘মুন্নির সঙ্গে সম্প্রতি বন্ধুত্ব হয় চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার মো. ফরহাদের (১৭)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে কাপ্তাই আসে ফরহাদ। আমাদের বাড়ির সামনে পিয়ারা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ফরহাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয় তার।
কিন্তু বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে স্থানীয় এক ব্যক্তি। ডেকে আনেন স্থানীয় ইউপি সদস্যকেও। একপর্যায়ে ছেলেটিকে আটকে রাখা হয়। এলাকায় মুন্নির নামে রটানো হয় দুর্নাম।’
মোশাররফ আরও বলেন, ‘নিজের নামে মিথ্যাচার শুনে মুন্নি ছেলেটিকে বলে, এলাকার মানুষ আমার নামে মিথ্যা বদনাম ছড়িয়েছে, এই পরিস্থিতে আমাকে বিয়ে করে ফেলুন। কিন্তু ছেলেটি (ফরহাদ) এ কথায় রাজি হয়নি।
অন্যদিকে, থানায় প্রয়োজনের কথা বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আজিজুল হক ৫০ হাজার টাকা চান বিষয়টি সমাধানের জন্য। কিন্তু টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় এলাকায় রটানো হয় নানা কাহিনী।
পরে নিজের নামে মিথ্যাচার সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় আমার বোন। আমরা এর বিচার চাই।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আজিজুল হক টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘মেয়েটির বিরুদ্ধে বদনাম রটানো হয়েছে। তাই অপমানিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে সে।’
কাপ্তাই থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম জানান, ‘বৃহস্পতিবার ঘটনার সূত্রপাত হলেও আমরা জানতে পেরেছি শনিবার। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আমাদের কেউই জানাননি।’