দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। আর পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন পরিবারের সংখ্যা প্রায় ২৯ হাজার। চট্টগ্রাম জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে নিহতের সংখ্যাও ১২ জন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তদারককারী কর্মকর্তা খালিদ মোহাম্মদ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলাতেই ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাব ছিল। তবে হাতিয়া, সন্দ্বীপ ও ভোলাসহ এর কাছাকাছি জেলাগুলোতেই এর আঘাত ছিল বেশি। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু উপকূল পেরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় আরও অন্তত দুই দিন সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সমুদ্রবন্দরগুলোকে বিপৎসংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শনিবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে প্রবেশ করে।
তবে সেটি দুর্বল হয়ে ভারতের মিজোরামের দিকে অগ্রসর হয় বলে শনিবার রাতে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা। শনিবার ভোর থেকে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দক্ষিণের কয়েকটি জেলায় ঝোড়ো বাতাসে গাছ চাপা পড়ে বা বাড়ি-ঘর চাপা পড়েই বেশির ভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘরের নিচে চাপা পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালীতে দুই নারী ও একটি শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
নোয়াখালীর নিঝুম দ্বিপ, হাতিয়া, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও মহেশখালী, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সন্দ্বীপ এবং আনোয়ারার বাঁধ ভেঙে বিস্তর এলাকা তলিয়ে গেছে। কুতুবদিয়া এলাকায় বন্যার পানিতে বহু লবণচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়ে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা যাচাই করতে এখনো সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।