কনস্টেবল মাহফুজুর রহমান পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় চাকরিচ্যুত হন । এরপর বেশ কিছুদিন জেল খাটেন। সেখানে পরিচয় হয় এক মাদকব্যবসায়ীর সঙ্গে। জেল থেকে বেরিয়ে জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। পুলিশের পোশাক পরে ডজনখানেক ইয়াবার চালান কক্সবাজার থেকে রাজধানী ও খুলনায় এনেছে।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘মঙ্গলবার চট্রগ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা আসছে এমন খবরে র্যাব রাজধানীর আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেয়। এসময় দেশ ট্রাভেলসের একটি বাস থেকে এএসআই ব্যাচ পরা একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে দশ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা ও নগদ ৩১ হাজার ৮০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ সালে তাকে পুলিশ বিভাগ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘খুলনা মেট্রোপলিটনে কর্মরত অবস্থায় গুরুতর অপরাধের কারণে চাকরিচ্যুত হন এবং তার বাবার করা একটি মামলায় তিনি জেলে যান। জেল থেকে বেরিয়ে জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। প্রতি মাসে দুইবারের বেশি কক্সবাজার যেতেন এবং পুলিশের পোশাক পরে মাদকের চালান নিয়ে আসতেন।’
‘খুলনা পুলিশে কর্মরত অবস্থায় তিনি প্রতিনিয়ত ইয়াবা সেবন করতেন। তার বাবা বিমান বাহিনীর একজন মাস্টার অফিসার ছিলেন। নেশায় জড়িয়ে পড়ায় প্রতিনিয়ত পরিবারের সদস্যদের মারপিট করতেন। এক পর্যায় তার বাবা ছেলের নামে থানায় মামলা করেন।’
আশিক বিল্লাহ জানান, পুলিশের পোশাক পরে ইয়াবার চালান আনলে কেউ তাকে সন্দেহ করত না। এমনকি তল্লাশিও করা হতো না। আর পুলিশের পোশাক পরা থাকায় লোকে তাকে সম্মান করে। সেই সুযোগে তিনি এই অপরাধ করতেন।’