শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সংযোগ সড়কে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার ও বান্দরবানের যাত্রীরা এবার ঈদে বহদ্দারহাট থেকে।
ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে ৩০ মে’র মধ্যে পুরো সড়ক যান চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়ক প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। এর মধ্যদিয়ে কক্সবাজার-বান্দরবানসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের লাখ লাখ যাত্রী দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশি সময়ের ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাবেন।
গত বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর দক্ষিণ প্রান্তের ৩ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। এখন বহদ্দারহাট থেকে সেতু পর্যন্ত শহরের অংশে ছয় লেনের ৫ কিলোমিটারের কাজ পুরোদমে চলছে। শহরের অংশের ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ঈদের আগে আরো ২০ ভাগ কাজ শেষ হবে বলে জানান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আশিক কাদির। তিনি আজাদীকে জানান, ঈদে যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে এজন্য কর্ণফুলী সেতুর বহদ্দারহাট থেকে শহরের অংশের ৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ মোটামুটি ঈদের আগেই শেষ করা হবে। ৫ জুন থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা ৩০ মে’র মধ্যে পুরো সড়ক গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে দেবো। শুধুমাত্র রাহাত্তারপুল ও কালামিয়া বাজার এলাকায় নির্মাণাধীন আন্ডারপাস দু’টির ৪টি র‌্যাম্পের (নিচের অংশের কাজ) কাজের কিছু অংশ বাকি থাকবে। এ কাজগুলো ঈদের পরে শেষ করা হবে। উপরিভাগের কাজ শেষ হয়েছে। সুতরাং ঈদের সময় উপরে গাড়ি চলতে কোন অসুবিধা হবে না। এদিকে সেতুর দক্ষিণ পাড়ে ৪ লেনের ৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকৌশলী আশিক কাদির জানান, ইতোমধ্যে শহরের অংশের ৪টি ব্রিজের মধ্যে ১টির কাজ শেষ হয়েছে। অপর ৩টির কাজ ঈদের আগেই শেষ হয়ে যাবে।
তিনি জানান, ২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ৬ মার্চ। এর মধ্যে ১০৭ কোটি টাকা দিয়েছে কুয়েত সরকার এবং অবশিষ্ট ১৬৩ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
২০১৭ সালের ৬ মার্চ সওজের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএমসিজি-মীর আকতার-সাদিম আল কুয়েত জেভির সঙ্গে কার্য সম্পাদনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরপরই সড়ক সমপ্রসারণের কাজ শুরু করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মীর আকতার হোসেন লিমিটেড।
প্রকল্পের মধ্যে আছে-বহদ্দারহাট ইন্টারসেকশন থেকে কর্ণফুলী সেতুর শহরের অংশে (বহদ্দারহাট থেকে সেতু পর্যন্ত) ৬ লেনের ৫ কিলোমিটার এবং সেতুর দক্ষিণ পাড়ে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত ৪ লেনের ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ। এই প্রকল্পে শহরের অংশে ৪টি ব্রিজ এবং দক্ষিণ পাড়ে ৭টি ও শহরের অংশে ১টি কালভার্ট ও ৩টি আন্ডারপাস নির্মাণ। রাহাত্তারপুল, কালামিয়া বাজার ও চাক্তাই রাজাখালী ব্রিজ এলাকায় আন্ডারপাস তিনটি নির্মিত হবে। প্রকল্পের এসব কাজের মধ্যে তিনটি সেতুর কাজ, তিনটি আন্ডারপাসের নিচের র‌্যাম্পের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় কার্পেটিংয়ের কাজ বাকি রয়েছে। এগুলোর কাজ চলছে। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৯ সালের মে মাসে। কিন্তু এখন পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করতে ১ মাস সময় বেশি লাগবে বলে প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031