পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তার আমন্ত্রণে ওয়াশিংটন সফরে যাওয়া বাংলাদেশের। স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায়) ওই বৈঠক শুরু হয়। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ বৈঠক শুরুর বিষয়টি মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছে। তিনি জানান, বৈঠক এখনও চলছে, তা ১০টা পর্যন্ত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিস জি ওয়েলস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সঙ্গে আছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়া উদ্দিন। মোমেন-পম্পেও বৈঠকের জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারও এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, ওই বৈঠকের পর স্টেট ডিপার্টমেন্টের তিন ব্যুরো প্রধানের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করবেন মন্ত্রী মোমেন। ব্যুরো তিনটি হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া ব্যুরো; গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম বিষয়ক ব্যুরো এবং জনসংখ্যা, উদ্বাস্তু ও অভিবাসনবিষয়ক ব্যুরো।
মন্ত্রীর সম্মানে দুপুরে প্রিন্সিপাল ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিস জে ওয়েলস ওয়ার্কিং লাঞ্চের আয়োজন করছেন। সেখানে স্টেট ডিপার্টমেন্টের অন্য কর্মকর্তারাও থাকছেন। বিকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপ-প্রধান চার্লস কুপারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কাল মন্ত্রী মোমেন মার্কিন আইন প্রণেতা সিনেটর ক্রিস মারফি ও ইউএসএইডের প্রধান মার্ক গ্রিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ক্রিস মারফি সিনেটে দক্ষিণ এশিয়া ও কাউন্টার-টেরোরিজম বিষয়ক উপ-কমিটির র্যাংকিং সদস্য। ওইসব বৈঠকের বিষয়ে ঢাকার তরফে আগেই জানানো হয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সিরিজ বৈঠকের এজেন্ডা বেশ বিস্তৃত। সেখানে নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন, রোহিঙ্গা সংকট, ইন্দো-প্যাসিফিক, শ্রম অধিকার, অভিবাসনসহ দুই দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ই থাকছে।