২ হাজার ৪৭২টি বিনামূল্যের টিকিট ইস্যু করেন তিন বিমানের যুক্তরাজ্যের কান্ট্রি ম্যানেজার থাকা অবস্থায় এসব টিকেটের মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা। আর এ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও তার বিরুদ্ধে। তিনি বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম কমার্শিয়াল) শফিকুল ইসলাম। এসব অভিযোগে তাকে ওএসডি করা হয়েছে।
একইসঙ্গে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ওএসডি হয়েছেন বিপণন ও বিক্রয় শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আশরাফুল আলম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সিকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার দুপুরে বিমানের এক দাপ্তরিক আদেশে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বিমানের একটি সূত্র জানায়, ডিজিএম শফিকুল ইসলাম চার বছর বিমানের যুক্তরাজ্যের কান্ট্রি ম্যানেজার ছিলেন। তিনি সম্প্রতি ঢাকায় বদলি হয়ে আসেন। যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় তিনি সেখান থেকে ২ হাজার ৪৭২টি বিনা মূল্যের টিকিট ইস্যু করা হয়।
এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসের টিকিট ছিল ১ হাজার ১৩৬টি আর ইকোনমি ক্লাসের ছিল ১ হাজার ৩৩৬টি। এসব টিকিটের মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা।
এ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া লন্ডন থেকে বিমানে পণ্য (কার্গো) পরিবহনেও অনিয়মের অভিযোগ আছে।
অন্যদিকে বিপণন ও বিক্রয় শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক থাকা অবস্থায় তিনি বিমানের মনোনীত কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সিকে সিট ব্লক করে বিশেষ সুবিধা দেন।
তবে এই ‘বিশেষ সুবিধাকে’ আর্থিক অনিয়ম মানতে নারাজ বিপণন শাখার কর্মকর্তারা। তাদের মতে, অনেক সময় বড় গ্রুপের যাত্রী থাকে। ব্যবসায়িক স্বার্থে ট্রাভেল এজেন্সির চাহিদার কারণে অনেক সময় সিট ব্লক করতে হয়।
ওএসডি হওয়া দুই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র মতে, বিমানের লন্ডন স্টেশনে বিনামূল্যের টিকিট ইস্যু ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি খাতে দুর্নীতি অভিযোগ এসেছে, সেগুলো তদন্ত করা হবে।
এদিকে দুই কর্মকর্তা ওএসডি হওয়ায় বিমানের বিপণন ও বিক্রয় শাখার পরিচালক ও জিএম দুটি পদই শূন্য হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিপণন ও বিক্রয় শাখার দায়িত্ব এমডির কাছে ন্যস্ত থাকবে বলে বিমানের প্রশাসনিক আদেশে বলা হয়েছে।