র্যাবের হাতে আটক হওয়া আট লাখ পিস ইয়াবা রাজধানীর অভিজাত এলাকার একটি বাসায় যাচ্ছিল । চালানটি মিয়ানমার থেকে আনতে মোটা অঙ্কের টাকা এসেছিল দেশের বাইরে থেকে। তবে তদন্তের স্বার্থে অভিজাত এলাকার সেই বাসার ঠিকানা জানায়নি র্যাব।
এর আগেও এই চক্রের হাত ধরে চার পাঁচটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে রাজধানীতে এনেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তুহিন হোসেন, মো. সবুজ ও শাজাহান।
মঙ্গলাবার বিকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার-বিন-কাশেম, এএসপি মো. কামরুজ্জামান ও এএসপি মো. সালাউদ্দিন।
মুফতি মাহমুদ জানান, ‘র্যাব-১ এর কাছে তথ্য ছিল মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে বরিশাল থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান রাজধানীতে প্রবেশ করছে। এমন খবরে মঙ্গলবার ভোরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অবস্থান করে র্যাব সদস্যরা। সপ্তবর্ণা নামে একটি লঞ্চ থেকে পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ল্যাগেজে করে এই ইয়াবাগুলো বহন করে রাজধানীতে নিয়ে আসছিল।’
মুফতি মাহমুদ আরও বলেন, ‘এই চক্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের আরেক গ্রুপকে আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাজাহান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে তিন লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। শাহ্জাহান বরিশাল থেকে ঢাকায় সড়কপথে এসেছিলেন।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার হওয়া ইয়াবা ঢাকার একটি বাসায় পাঠানোর কথা ছিল। ওই বাসা থেকে ইয়াবাগুলো বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতার কাছে সরবরাহ করা হতো। দেড় বছর যাবত তারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কক্সবাজার থেকে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির কারণে তারা রুট পরিবর্তন করে সাগরপথে কক্সবাজার থেকে পটুয়াখালী ও চাঁদপুর হয়ে ঢাকায় আসে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সংঘবদ্ধ চক্রটি সাগর থেকে ইয়াবা ট্রলারের মাধ্যমে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে তারা সুবিধামত নদীপথে এবং স্থলপথে ইয়াবা পাচার করত এবং নিয়মিতই তাদের রুট পরিবর্তন করত। এই চালানটি রাজধানীতে আনতে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। তাদের চক্রে ৮-১০ জন সদস্য রয়েছে।