ঢাকা : ওয়েন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে থেকে লড়ে জয়ী হন ।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওয়েনের অভিষেক হওয়ার কিছু সময় পরই তার নয়া সরকার প্রধানমন্ত্রী লি চুয়ানের নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করে।
অভিষেকের পর ওয়েন বলেন, চীনের সঙ্গে চলমান সম্পর্কের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবেন তিনি। তবে বেইজিংকেও তাইওয়ানের গণতন্ত্রের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধা দেখাতে হবে।
গেল ১৬ জানুয়ারি তাইওয়ানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৫৯ বছর বয়সী নয়া প্রেসিডেন্ট ওয়েন ওই নির্বাচনে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তিনি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কুয়োমিন্টাং পার্টির (কেএমটি) প্রার্থী এরিক চুকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন। তিনি পেয়েছিলেন ৩১ শতাংশ ভোট।
তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার হুমকি দিয়ে রেখেছে।
তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থি হিসেবে পরিচিত ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ওয়েন।
৬৬ বছর আগে চীনের গৃহযুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে ক্ষমতাসীন কুয়োমিন্টাং দলের লড়াইয়ে ক্ষমতাসীনরা পরাজিত হয়। কুয়োমিন্টাং দলীয় নেতৃবৃন্দ চীনের মূল ভূখণ্ড ছেড়ে তাইওয়ানে আশ্রয় নেন। সেখানে নিজেদের শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলেন তারা।
এর আগে ডিপিপি-র চেন শুই বিয়ান প্রথমবারের মতো তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তার মেয়াদকালে চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্কে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।
ওয়েন হলেন ডিপিপি-র দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট।