মোবাইল ফোন না দেয়ায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে চাঁদপুর শহরের মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী প্রিয়ন্তী (১৪) আত্মহত্যা করেছে। প্রিয়ন্তী মটখোলার রায়ের বাড়ির ডা. দুলাল রায়ের মেয়ে। তারন মা আলো রানী ইব্রাহিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ঘটনার সময় তিনি পাশের রুমে শিশুদের প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। রোববার রাতে পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ড মটখোলা সুধীর ডাক্তারের বাড়ি দুলাল রায়ের ঘরে এই ঘটনা ঘটে।
প্রিয়ন্তীর বাবা ডা. দুলাল রায় জানান, প্রতিদিনের মতো মেয়ে স্কুল ছুটির পর ড্রেস পাল্টানোর জন্য বাথরুমে যায়। কিন্তু আজ দীর্ঘ সময় বাথরুমে অবস্থান করায় তার মা তাকে ডাকতে আসলে বাথরুমের ভিতর মেয়ের লাশ দেখতে পায়। ওই সময় সে জীবিত রয়েছে ভেবে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজন দ্রুত চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত স্কুল ছাত্রীর মা আলো রানী দেবনাথ পুলিশকে জানান, মোবাইল না দেয়ায় তার মেয়ে অভিমান করে টয়লেটে ভিতরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মিরাজ হাসপাতালে গিয়ে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।