চট্টগ্রাম ১৯ মে : বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একই সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সভায় ভারতীয় হাই কমিশনার দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালকমন্ডলী, ট্রেডবডি নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
মত বিনিময় ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন,‘‘বাংলাদেশে অবকাঠামোগত খাতে ভারত ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। উভয় দেশের প্রাইভেট সেক্টর পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে হবে।দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সুবিধাজনক ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত চট্টগ্রাম সড়ক, রেল ও নৌপথে দেশের অন্যান্য অঞ্চল, পূর্ব ভারতীয় প্রদেশসমূহের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে রিজিওনাল হাবে পরিণত হতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রোডলিংক, বন্দর সম্প্রসারণ, তথ্য প্রযুক্তি, পর্যটন, উপকূলীয় নৌপরিবহন এবং শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয়পক্ষ উপকৃত হবে।
ভারতের সাথে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করার জন্য মিরসরাই ও আনোয়ারায় বাস্তবায়নাধীন বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের বিনিয়োগ কামনা করেন তিনি।দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি রোধ করা করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম।
সভায় অংশ নিয়ে স্থানীয় সাংসাদ এম. এ. লতিফ বলেন,বাংলাদেশের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে বিশ্ব বাণিজ্যে চীনের মত স্থান দখল করা সম্ভব।ভারতের সাথে সুপ্রতিবেশী সুলভ সম্পর্কের সুবাদে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে উভয় পক্ষই লাভবান হবে। চট্টগ্রাম বন্দর পূর্ব ভারতীয় প্রদেশসমূহের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে আঞ্চলিক বন্দরে উন্নীত হতে পারে। তিনি এডিবির মাস্টার প্লান অনুযায়ী বন্দর সম্প্রসারণ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পে ভারতীয় বেসরকারী বিনিয়োগ আহবান করেন।
চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নুরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন-দু’দেশের মধ্যে বর্তমানে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিরাজ করছে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আদর্শ স্থান উল্লেখ করে চট্টগ্রামে ভারতীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে হাইকমিশনারের সহায়তা কামনা করেন। সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ ভারতে চিকিৎসা প্রার্থীদের স্বল্প সময়ে ভিসা প্রদানের অনুরোধ জানান।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, এ.কে.খান এন্ড কোম্পানী লিঃ’র এমডি সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম, কাস্টম কমিশনার হোসেন আহমেদ, জেএফ (বাংলাদেশ)’র সিইও এ.কিউ.আই চৌধুরী, ওবিই, পূর্বদেশ সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর, বিজিএমইএ’র ১ম সহ-সভাপতি মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), বিএসআরএম’র এমডি আমীর আলীহুসেইন, ওয়েস্টার্ণ মেরিন শিপ ইয়ার্ড’র এম.ডি. ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, পেডরোলো’র চেয়ারম্যান নাদের খান, জিপিএইচ ইস্পাত’র আলমাস শিমুল প্রমুখ।