এক চেয়ারম্যান ও ৪ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন বোয়ালখালী ও উখিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে । আমাদের বোয়ালখালী প্রতিনিধি জানান, বোয়ালখালীতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৭টি কেন্দ্রে একযোগে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এখানকার ১,৮০,২৬৫ জন ভোটারের মধ্যে ৫০,৪৬৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে জাল ভোটের অভিযোগ এনে দুপুরে নির্বাচন বর্জন করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাসদ নেতা সৈয়দুল আলম (মোটর সাইকেল)।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট থাকায় অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। আমাদের উখিয়ায় প্রতিনিধি জানান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে চারজনই ভোট কারচুপি, জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছেন। এই উপজেলায় টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি নির্বাচিত হয়েছেন। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি আশানুরূপ কম ছিল।
এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে উখিয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামরুন্নেছা বেবী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ফলে এখানে শুধুমাত্র সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
উখিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বিভিন্ন হুমকির মধ্যে রয়েছেন উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে পড়েন। বাকী ৫ প্রার্থীর মধ্যে উখিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গত শুক্রবার নির্বাচন বর্জন করেন। অন্য ৪ জন প্রার্থীর মধ্য উখিয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এ আর জিহান ও আওয়ামী আইনজীবী মো. রাসেল যৌথভাবে গতকাল ভোট চলাকালে নির্বাচন বর্জন করেন। এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম প্রশাসন জনগণের ভোটাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবেন, কিন্ত উখিয়ায় করা হয়েছে উল্টো। এখানে ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। তারা আরো বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বারবার সংশ্লিষ্টদের জানানোর পরও নির্বাচনে নিয়োজিতরা সাধারণ ভোটারদের অধিকার পদদলিত করেন।’
তারা আরো অভিযোগ করেন, সারাদিন ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও রুমখা ইসলামিয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে ৯৬ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ দেখানো হয়েছে। একই ভাবে জালিয়া পালং ও হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ১৯টি কেন্দ্রে গড়ে ৭৫ শতাংশ ভোটগ্রহণ দেখানো হয়েছে। এই উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লক্ষ ২০ হাজার ৩৩৮ জন। ভোট কেন্দ্র ছিল ৪৫টি।