কক্সবাজারে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার খুঁজছেন সংবাদকর্মীরা। কিন্তু ভোটারদের সন্ধান মিলছে না। জেলার ৫ উপজেলার শতাধিক ভোট কেন্দ্রের চিত্র এমনই। ভোটার শূণ্য এসব ভোট কেন্দ্রের ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। কেউ কেউ নানা কথা লিখে ছবিসহ নিজের ফেসবুক ওয়ালে প্রকাশ করেছেন। কেউ লিখেছেন- ‘ ভোটার কেন আসে না/ কিছু ভালো লাগে না/ একবার আসুক তারে….’। আবার
কেউ লিখেছেন- ‘এসো হে ভোটার.. এসো এসো..’। কেউ আবার লিখেছেন- ‘ভোটার খুঁজছি’।
এদিকে উখিয়া উপজেলায় ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্র্থী ভোট বর্জন করেছেন।
ভোটার শূণ্য কেন্দ্রগুলোতে অলস সময় কাটাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কক্সবাজারের পাঁচটি উপজেলা যথাক্রমে টেকনাফ, উখিয়া, রামু পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় আজ ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কোথাও কোনো গোলযোগের খবর পাওয়া না গেলেও ভোট কেন্দ্রসমূহে ভোটার উপস্থিতি একেবারে কম। এমনকি কোনো কোনো কেন্দ্রে কোন ভোটারই নেই।
ইতিমধ্যে ভোটার শুণ্য ভোট কেন্দ্রগুলোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জেলার পেকুয়া ও উখিয়া উপজেলায় ভোটার উপস্থিতির হার খুই কম।
রামু উপজেলার অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রের চিত্রও এক
ই। আবার কিছু কিছু কেন্দ্রে ব্যতিক্রম চিত্রও দেখা গেছে। প্রার্থীদের
নিজস্ব ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা ভোট দিতে আসছেন। তাও সংখ্যায় অনেক কম।
নির্বাচন কর্মকর্তারা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
এদিকে
উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনজন
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী যথাক্রমে মাহবুব আলম মাহাবু, এ আর জিহান চৌধুরী ও
মো. রাসেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিছেয়েন।
বেলা
১২ টার দিকে তিনজন প্রার্থী একযোগে এ ঘোষণা দেন। এর আগে ৫ জন
প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে নুরুল হুদা গত শুক্রবার ঘোষণা দিয়ে
নির্বাচন থেকে সরে যান। উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে
অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুক্তিযোদ্ধা কন্যা
কামরুন্নেছা বেবী আগে থেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
(তিন পার্থীর ভোট বর্জন)