ঢাকা ১৯ মে : ঢাকা ও বেইজিং-এর মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও ভিন্ন মাত্রায় নিতে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চেং ওয়ানকুয়ান চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে আসছেন। ৩ দিনের এই সফরে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা আর অংশীদারিত্বের নতুন দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। দ্বিপাক্ষিক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অবকাঠামো ও উন্নয়ন সহযোগিতার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা খাতে কয়েক বছরে বড় ধরনের সহযোগিতা গড়ে উঠছে তা আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।
জানা গেছে, দীর্ঘ আট বছর পর চীনের কোনো প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ২৮ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত তিনদিন সফর করবেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চেং ওয়ানকুয়ান। সঙ্গে আসছে ১৫ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধি দল। এই সফরে চীনা মন্ত্রীর কর্মসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, তিন বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
চীনা প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর অংশীদারিত্ব বিগত বছরগুলোতে বহুদূর এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের জুন মাসে চীন সফরের পর প্রতিরক্ষা খাতে উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকটি সফর বিনিময় হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক গত ডিসেম্বরে চীন সফরে যান। এসময়ে চীনা সেনাবাহিনী (পিএলএ) ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে বেশ কিছু বোঝাপড়া হয়। নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানও চীন সফর করেন।
২০১০ সাল থেকে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আরো পাঁচটি মেরিটাইম প্যাট্রোল জাহাজ, ৪৪টি ট্যাংক, ১৬টি যুদ্ধ বিমান, এন্টি শিপ মিশাইলসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ করার উপযোগী করতে চীনের সহযোগিতা বড় ধরনের অবদান রাখছে বলে সূত্র জানায়।
এর আগে চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান জেনারেল শু কি লিয়াং বাংলাদেশ সফর করেন। তখন দু’দেশের মধ্যে চারটি সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা চীন থেকে বরাবরই উচ্চতর পেশাদারিত্বের প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। পাশাপাশি বাংলাদেশ চীন থেকে বড় ধরনের সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করে। গত কয়েক বছরে বড় পরিমাণে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দিয়েছে চীন। গত মার্চে নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে দুটি ফ্রিগেট। অক্টোবরে আসছে দুটি সাবমেরিন জাহাজ।