বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন। যার অন্যতম উদাহরণ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী রাউজানের সনত্মান মাস্টার দা সূর্য সেন। এ বীর সেনানীর স্মৃতিকে রাউজানের মানুষ যেভাবে আগলে রেখেছে সেই দৃশ্য দেখে আমার গর্ববোধ হয়। তিনি সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরীকে রাউজানের সৌন্দর্য ও শানিত্মপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির নিপুণ কারিগর বলে অভিহিত করেন। গতকাল উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক সমাবেশে মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। এতে তিনি বলেন- দেশে যখনই সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে,তখনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শক্ত হাতে দমন করা হয়েছে। তিনি বলেন- আমরা অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করেছি, জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এখন যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে দেশ থেকে মাদক নির্মূলের। এ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। মাদকের অভিশাপ থেকে দেশ ও সমাজকে মুক্ত করতে এখন সর্বসত্মরের মানুষ সহযোগিতা দিচ্ছে। পৌর সদরের একেএম ফজলুল কবির চৌধুরী অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজা।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা নিকসন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রানত্ম সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী। এতে অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুল ওহাব, রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উলস্নাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু জাফর চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফৌজিয়া খানম মিনা।
মন্ত্রী সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা সদরে মাস্টার দা’র ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এখান থেকে মন্ত্রীকে নেয়া হয় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে। এখানে তাকে স্বাগত জানান উপজেলা আওয়মীলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক বশির উদ্দিন খান, পৌরসভার দ্বিতীয় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ,জসিম উদ্দিন চৌধুরী,সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। তিনি এখানেও পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি রাউজান থানার উর্ধমুখি সমপ্রসারণ কাজ উদ্বোধন করেন।
বিকেলে সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী মন্ত্রীকে নিয়ে যান রাউজানের রাঙ্গামাটি সড়কের বিনোদন কেন্দ্র গিরিছায়ায়। পরে অন্নদা ঠাকুর আদ্যাপীঠ মন্দিরে যান মন্ত্রী। এখানে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান মন্দিরের সভাপতি দিলীপ কুমার মজুমদার ও সম্পাদক শ্যামল পালিত। এরপর মন্ত্রী পূর্বগুজরা পুলিশ ফাঁড়ির ভবন উদ্বোধন, পাহাড়তলীতে হাইওয়ে পুলিশ থানার ভিত্তিপ্রসত্মর স্থাপন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) কার্যালয় উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী নোয়াপাড়ায় দড়্গিণ রাউজান থানারও উদ্বোধন করেন । এতে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন চুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ, নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম,চেয়ারম্যান আবদুর রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম, আব্বাস উদ্দিন, ভুপেশ বড়ুয়া,লায়ন সাহবুদ্দিন আরিফ, সরোয়ার্দি সিকদার, বিএম জসিম উদ্দিন হিরু ,সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল,প্রিয়োতোষ চৌধুরী,তসলিম উদ্দিন চৌধুরী, সুকুমার বড়ুয়া, আওয়ামীলীগ নেতা কাজী ইকবাল, নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |