রহমান আদরের মেয়েকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম জেনেও অপেক্ষায় ছিলেন । চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে সন্ধান মিলছিল না মেয়ে দোলার। ওইদিনের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে অঙ্গার হওয়া মরদেহগুলোর ভেতরেই মিলল মেয়ের মরদেহ।
চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের পর একসঙ্গে নিখোঁজ ছিলেন দুই বন্ধু রেহনুমা তারান্নুম দোলা ও ফাতেমাতুজ জোহরা বৃষ্টি। দুই সপ্তাহ পর আগুনে পোড়া লাশের মধ্যে বৃষ্টিকে শনাক্ত করা গেলেও পাওয়া যাচ্ছিল না দোলাকে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে লাশ শনাক্তের পর মেয়ের মরদেহ গ্রহণ করেন দলিলুর রহমান। সঙ্গে নিয়ে আসছিলেন দোলার ছোট বোনকে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে থাকা বাকি লাশগুলো থেকে তিন সপ্তাহ পর শনাক্ত করা হয়েছে দোলাকেও। দোলাসহ আরও পাঁচজনের মরদেহ শনাক্ত করার কথা মঙ্গলবার জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন।
রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এই পাঁচজনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- অন্য চারজন হলেন হাজী ইসমাইল, ফয়সাল সারওয়ার, মোস্তফা ও মোহাম্মদ জাফর।
এর আগে গত সপ্তাহে ১১টি লাশের পরিচয় শনাক্ত হয়। বাকি ছিল পাঁচটি মৃতদেহ ও একটি হাত।
তিনি জানান, মর্গে থাকা মোট ১৬টি মরদেহের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। এখনও তিনটি লাশ অশনাক্ত অবস্থায় আছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর পুড়ে অঙ্গার হওয়া মরদেহ সনাক্তে অন্যান্যদের মত দোলা বাবারও নমুনা জমা দিয়েছিলেন। অন্যান্য নিহতদের মতো তার নমুনাও মিলে যায়।