বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া নৌকার আরও এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ঢাকার সদরঘাটে । নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান, আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে কালীগঞ্জ আলম টাওয়ার বরাবর নদী থেকে নিখোঁজ সাহিদা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে তিনদিন আগের ওই নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ছয়জনের সবার লাশই উদ্ধার করা হল।
ওই নৌকার আরেক যাত্রী সাহিদার স্বামী গার্মেন্ট কর্মী শাহজালাল (৩৮) লঞ্চের প্রপেলারের আঘাতে দুই পা হারিয়ে জাতীয় অর্থোপেডিকস ও পুর্নবাসন (পঙ্গু হাসপাতাল) কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ থেকে নৌকায় করে সদরঘাটের দিকে আসছিলেন শাহজালাল মিয়া। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শরীয়তপুরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। রাত ১০টার দিকে সদরঘাটের ১৩ নম্বর পন্টুনের কাছে সুরভি-৭ লঞ্চের ধাক্কায় তাদে নৌকাটি ডুবে যায় বলে নৌ-পুলিশের সদরঘাট ফাঁড়ির ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান।
এ সময় লঞ্চের প্রপেলারের আঘাতে শাহজালালের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নৌ পুলিশের টহলদল তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালেও ছয়জন নিখোঁজ থাকেন।
ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশের তল্লাশির মধ্যে শুক্রবার দুপুরের দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় নদী থেকে শাহজালালের বোন জামশেদার (২১) লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর সাহিদা-শাহজালালের ছেলে মাহি (৬), দুপুরে তাদের মেয়ে মিম (৮) এবং জামশেদার স্বামী দেলোয়ার (২৮) ও তাদের ছয় মাসের ছেলে জুনায়েদের লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নৌবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন দুর্ঘটনার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ওই নৌকার যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে চলন্ত লঞ্চের পেছন দিক দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লঞ্চ তখন পেছন দিকে যাওয়ায় প্রপেলারের ঢেউয়ের ধাক্কায় ছোট নৌকাটি ডুবে যায়।
এ দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বিআইডব্লিউটিএ।।