নিজ দেশে ৩২ জন নারী সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কারাবন্দী হয়ে রয়েছেন সারা বিশ্বজুড়ে যখন সাড়ম্বরে নারী দিবস উদযাপিত হচ্ছে তখন । অন্যের রাজনৈতিক অধিকার আদায় কিংবা মানবাধিকারকে সমুন্নত রাখতে গিয়ে কারারুদ্ধ হয়েছেন এসব নারী সাংবাদিক।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদন জানিয়েছে, ২৫১ জন কারাবরণ করা সাংবাদিকের মধ্যে ৩২ জন নারী। বেশির ভাগ সাংবাদিক তুরস্ক ও চীনের। তুরস্কের ১৪ জন, চীনের ৭ জন, সৌদি আরবের ৪ জন, ভিয়েতনামের ২ জন, ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনের ২ জন, মিসরের ২ জন ও সিরিয়ার ১ জন।
কারাবন্দী ৩২ নারী সাংবাদিকের মধ্যে ২৬ জন রাজনৈতিক ইস্যুতে লিখতেন। অনেকে সম-অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আটক হয়েছেন। অন্যদিকে স্রেফ নারীদের গাড়ি চালনার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কথা বলায় চার নারী সাংবাদিককে বন্দী করে রেখেছে সৌদি আরব।
এদের মধ্যে অনেকে আটক অবস্থায় যৌন হেনস্তারও শিকার হয়েছেন।
প্রতিবেদনে
বলা হয়, এরা সবাই স্থানীয় সাংবাদিক। নিজ দেশের রাজনীতি, দুর্নীতি ও
মানবাধিকার নিয়ে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে কারারুদ্ধ হয়েছেন তারা। এর
মধ্যে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তুরস্কের আয়সে নাজলি উলুজ্যাক ও
হাতিজে দুমান এবং চীনের গুলমায়ের ইমিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
তুর্কি সরকারের অভিযোগ, দুমান নিষিদ্ধ ঘোষিত মার্কস-লেলিনবাদী কমিউনিস্ট
পার্টির সদস্য। তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিলেন এবং সরকার
পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন।
২০১৬ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর তুরস্ক সরকারের ব্যাপক ধরপাকড় অভিযানের সময় আটক হন সাংবাদিক নাজলি। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি। চীনের গুলমায়ের ইমিন বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ আনা হয়। ইমিন উইঘুর ভাষার ওয়েবসাইটে ভয়াবহ বিক্ষোভের তথ্য সরবরাহ করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ করেন। এই অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান।