বিয়ে বঞ্চিত বর ও তার লোকজন বিয়ে করতে না পারার ক্ষোভে নব-বরকে অপহরণ করেছে । সঙ্গে কনেসহ বরযাত্রীর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার লেঞ্জাপাড়া গ্রামের আন্নর আলীর পুত্র সুজন মিয়ার সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল শ্রীমঙ্গল উপজেলার শাহীবাগ গ্রামের দুলাল মিয়ার কন্যা কলি আক্তারের। বরসহ বরযাত্রীরা ওই দিন বিয়ের উদ্দেশ্যে যথারীতি কনের বাড়িতে যায়। কিন্তু সেখানে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। ফলে ভেঙ্গে যায় বিয়ে। খালি হাতেই বাড়ি ফিরেন বরযাত্রীরা। এতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বর সুজন ও তার লোকজনের মধ্যে।
এদিকে, বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় কনে কলি আক্তারকে তড়িঘড়ি বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার।
সে অনুযায়ী কলির খালাত ভাই শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাক্ষনডুরা গ্রামের আনছর আলীর পুত্র সুজন মিয়ার সঙ্গে পর দিন শুক্রবার দিবাগত রাতে বিয়ের সময় ধার্য্য হয়। যথারীতি বরও যায় কনের বাড়িতে। বিয়েও হয় ঠিক-ঠাক। কিন্তু বরযাত্রী ফেরার পথে ঘটে বিপত্তি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বর-কনেসহ বরযাত্রীর বহর লস্করপুর রেলগেইটে নামক স্থানে পৌঁছামাত্র পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে হামলা ও ভাঙচুর চালায় বিয়ে বঞ্চিত পুরাতন-বর সুজন ও তার লোকজন। ঘটে তুলকালামকান্ড।
এ সময় হামলাকারীরা নব-বর সুজনকে অপহরণসহ কনে ও বরযাত্রীদের পিটিয়ে আহত করে। এতে মহিলা শিশুসহ আহত হয় কমপেক্ষ ১৫ জন। তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাত ৯ টার দিকে পুরাতন-বর লেঞ্জাপাড়ার সুজনের বাড়ি থেকে নব-বর সুজনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর ও শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হন, নব-বর সুজন মিয়া, কনে কলি আক্তার, বরযাত্রী- মমতাজ বেগম, ফারুক মিয়া, রুমা আক্তার, লিজা আক্তার, লিপি আক্তার, শারমীন আক্তার, ইয়াসমিন আক্তার ও হাজেরা বেগমসহ ১৫ জন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সুজনের বাড়ি থেকে বর সুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।