চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনগুলোতে কেমিক্যালের উপস্থিতি ছিলো কিনা তা
নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক বক্তব্যের মধ্যে আবারো
কেমিক্যাল থাকার কথা দাবি করছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার সকালে
চুড়িহাট্টা মোড়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান
সাংবাদিকদের বলেন, ভবনের ভেতরে গ্যাস লাইটার রিফিলের পদার্থ ছিল। এটা নিজেই
একটা দাহ্য পদার্থ। এছাড়া আরো অন্যান্য কেমিক্যাল ছিলো। প্রত্যেকটা জিনিসই
আগুন দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন, পারফিউমের বোতলে রিফিল
করা হত এখানে। সেই বোতলগুলো ব্লাস্ট হয়ে বোমের মতো কাজ করেছে। শিল্প
মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে জুলফিকার বলেন, অবশ্যই কেমিক্যাল
ছিল। যা যা ছিল, সেগুলো এক ধরনের কেমিক্যাল। কেমিক্যালের জন্যই আগুন
নিয়ন্ত্রণে সময় লেগেছে বেশি।
ডিএসসিসির তদন্ত কমিটির প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, আমরা আজ সকাল ৯টার পর ক্ষতিগ্রস্থ ভবনগুলো পরিদর্শনে এসেছি।
আগুনে পাঁচটি ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ভবন প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মনে হয়েছে। আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল গোডাওনের কোনো অনুমতি নেই। সরকারের নির্দেশনার পর নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেয়র বলেছেন, যে কোন মূল্যে সবাই মিলে এসব এলাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেওয়া হবে। এতদিন সরানো হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এবার যে কোন মূল্যে সেগুলো সব সরিয়ে নেওয়া হবে।
এ কমিটির সদস্য বুয়েটের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হওয়া ওয়াহেদ মঞ্জিলের গ্রাউন্ড ফ্লোর ও দোতলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিম ও কলামগুলো বিশেষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৩-৪ তলার বিম ও কলাম তেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। তবে কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে। এক সপ্তাহ পর জানা যাবে, ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী কি না।
আগুন লাগা অন্যান্য ভবনগুলোও আমরা পরিদর্শন করেছি। তবে ভবনগুলো টিকে থাকার জন্য বিম ও কলাম প্রাথমিকভাবে ভালো মনে হয়েছে। তবে এগুলো ব্যবহারের উপযোগী কি না পরীক্ষা শেষে এক সপ্তাহ পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। ওয়াহেদ মঞ্জিলের দোতলার পুরোটাতেই গোডাউন ছিল।