চট্টগ্রাম ১৭মে:প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সা বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭মে) সকাল সাাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম ও মহানগর অটোরিক্সা বেবিটোক্সী (সিএনজি) মালিক ঐক্য পরিষদের সদস্যরা।
চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম মহানগর অটোরিক্স বেবিটেক্সি (সিএনজি)মালিক চালক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হায়দার আজম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এস কে সিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরীতে গনপরিবহনের গুটি কয়েক নেতা শ্রমিক সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে প্রশাসনের যোগসাজসে ১৩ হাজার রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত সিএনজি অটোরিক্সার পাশাপাশি রেজিষ্ট্রেশন বহির্ভূত অনিবন্ধিত অটোরিক্সা চালাচ্ছে।
“ এই অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সা কিসের ভিত্তিতে নগরীতে চলাচল করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। যেখানে একই বিষয়ের ওপরে হাইকোর্টর অবকাশকালীন বেঞ্চ,চেম্বার জজ ও আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ রায় প্রদান করেন সেখানে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের একটি আদেশকে পুঁজি করে কিভাবে এএফআর স্টিকার লাগিয়ে রাস্তায় চলাচলের অনুমতিদেয়া হচ্ছে, প্রশ্ল রাখেন বক্তারা।
“অটোরিক্সার সামনের গ্লাসে কতিপয় ব্যক্তির সই করা স্টিকার দেখলে ট্রাফিক সার্জেন্ট ও পুলিশ সম্মানের সাথে পথ পরিষ্কার করে দেন’। একই শহরে একই পরিবহনে দ্ইু আইন কেন।
মানবন্ধন থেকে চট্টগ্রাম ও মহানগরী অটোরিক্স বেবিটেক্সি(সিএনজি) মালিক চালক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে ৬দফা দাবি উত্থাপন করে আগামী ২৭মে মধ্যে তা বাস্তবায়ন না করলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা ছাড়া কোন পথ খোলা থাকবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করা হয়।
৬ দফার মধ্যে রযেছে অনতি-বিলম্বে এএফআর নামীয় নিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সা বন্ধ করতে হবে, যত্রতত্র ডকুমেন্ট যাচাই এর নামে সিএনজি অটোরিক্সা আটক রেখে মামলার ভয় দেখিয়ে মালিক ও চালক থেকে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করা, যতদিন নগরীতে অটোরিক্সা ষ্ট্যান্ড নির্দিষ্ট করে দেওয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত নো পার্কিং- নো মামলা ও টো করা বন্ধ করা, মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা নিয়ে সহজে চালকদের লাইসেন্স দেওয়া। রুট পারমিটের উপর মামলা দেওযা বন্ধ করা। পুরাতন নাম্বার লাগিয়ে টোকেনের মাধ্যমে চলাচলকারী সকল চোরাইকৃত সিএনজি অটোরিক্সা জব্ধ করা ।
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে মোমিনরোড আন্দরকিল্লা হয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।